প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: করোনা ভাইরাস মহামারীর মধ্যেই আবারও ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে জীবন। মানুষ এখন ঘর থেকে বের হচ্ছে। মন্দির, মসজিদ, গীর্জা, গুরুদুয়ারা, স্কুল, কলেজ, জিম সেন্টার, সিনেমা হল, হোটেল এবং রেস্তোরাঁ খোলা হয়েছে। বাস, রেল এবং বিমান পরিষেবাও শুরু হয়েছে। যদিও করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমেনি। এই কারণে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলি মানুষকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে।
মানুষ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে এবং বিস্তার রোধে মাস্ক পরে ঘর থেকে বের হচ্ছে এবং শারীরিক দূরত্বও বজায় রাখছে। তারা অবাঞ্ছিত বস্তু স্পর্শ করতেও শঙ্কা বোধ করছে। প্রবীণরা একরকম নিয়ম মেনে চললেও, কিন্তু যখন ছোটদের কথা আসে তখন সন্দেহ ও ভয় থেকেই যায়। বিশেষ করে এই অবস্থায় ভ্রমণের সময় শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। আপনি যদি আপনার সন্তানের সাথে এই সময় ভ্রমণ করতে যান, তাহলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন-
মহামারী সম্পর্কে বলুন
আপনার সন্তান যদি করোনা ভাইরাস মহামারী সম্পর্কে না জানে, তাহলে আপনার সন্তানকে বিস্তারিতভাবে বলুন। বিশেষ করে শেখান, কিভাবে নিজেকে রক্ষা করতে হয়। তাদের মাস্ক পরার, স্যানিটাইজ করার, শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা এবং অবাঞ্ছিত বস্তু স্পর্শ না করার পরামর্শ দিন। এছাড়াও, আপনার সন্তানকে কীভাবে পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতার যত্ন নেবেন সে সম্পর্কে বলুন।
ব্যক্তিগত কিট প্রদান
যদি আপনার সন্তান বড় হয় এবং একটি ব্যাগ বহন করতে পারে, তাহলে অবশ্যই শিশুটিকে একটি ছোটো ব্যাগ দিন। ব্যাগের মধ্যে মাস্ক, স্যানিটাইজার, টিস্যু ইত্যাদি রাখুন এবং ভ্রমণের সময় শিশুকে এটি ব্যবহার করার নির্দেশ দিন।
বাড়ি থেকে খাবার নিন
করোনার সময় কোথাও ভ্রমণ করতে গেলে বাড়িতে রান্না করা খাবার আপনার সাথে নেওয়া ভাল। কারণ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল। অতএব এই সময় শিশুকে ঘরে তৈরি খাবার দিন।
আগাম পরিকল্পনা
করোনাভাইরাস মহামারীর সময় শিশুদের সাথে ভ্রমণের জন্য একটি বিশেষ পরিকল্পনা অপরিহার্য। এর জন্য আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলির একটি তালিকা তৈরি করুন। এছাড়াও সঠিক জায়গা নির্বাচন করুন, যেখানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কম। একান্ত যদি প্রয়োজন না হয় তবে শিশুটিকে আপনার সাথে না নেওয়াই ভালো।
No comments:
Post a Comment