প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনেও ফিরতে পারল না কংগ্রেস ও বামেরা। তবে কংগ্রেস গড় মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ কেন্দ্রে দ্বিতীয় হয়েছে কংগ্রেস। আর ভবানীপুর ও জঙ্গীপুর কেন্দ্রে দ্বিতীয় বিজেপি।
বিধানসভা নির্বাচনে অপ্রাসঙ্গিক হওয়া বাম কংগ্রেস তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও বিজেপির কাছে দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছতে পারল না। ভবানীপুরে তো কংগ্রেস প্রার্থী দিতেই পারেনি। চলুন দেখে নেই তিন কেন্দ্রের ব্রেকআপ।
প্রত্যাশা মতই ভবানীপুর আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জ দুটি আসনে তৃণমূল প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে।
জঙ্গিপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির সুজিত দাসকে ৯২ হাজার ৩৬৫ ভোটে পরাজিত করেন। জঙ্গিপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের জাকির হোসেন ভোট পেয়েছেন ১৩৫,৯৮৫ এবং বিজেপির সুজিত দাস পেয়েছেন ৪৩,৬২০।
আর সামসেরগঞ্জ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের জইদুর রহমানকে ২৬ হাজার ৩৭৯ ভোটে পরাজিত করেন। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৯৬,৩৮৮ এবং কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান পেয়েছেন ৭০,০০৯।
ফলে ২০১৬ সালের পরে ২০২১ সালেও এই দুটি আসন নিজেদের দখলে রাখল তৃণমূল।
এই দুটি আসনে জয়লাভের ফলে মুর্শিদাবাদ জেলার ২২ টি আসনের মধ্যে ২০ টিতে তৃণমূলের প্রার্থীরা জয়লাভ করল। মুর্শিদাবাদ ও বহরমপুর আসনে বিজেপি জয়লাভ করেছে।
এরপর গত ৪ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরের উপনির্বাচনের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের দুটি আসনেও ৩০ সেপ্টেম্বর ভোটের দিন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
ভবানীপুর কেন্দ্রে মমতা ব্যানার্জি জয়ী হয়েছেন ৫৮,৮৩৫ ভোটে। তার মোট প্রাপ্ত ভোট ৮৫,২৬৩। প্রাপ্ত ভোটের শতকরা হার ৭১.৯০ শতাংশ। এর মধ্যে ইভিএম মারফত তার প্রাপ্ত ভোট ৮৪,৭০৯ এবং পোস্টাল ব্যালটে প্রাপ্ত ভোট ৫৫৪।
অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের মোট প্রাপ্ত ভোট ২৬,৪০৮। ভোট শতাংশ হিসেবে যা ২২.২৯ শতাংশ। এর মধ্যে ইভিএম মারফত তার সংগ্রহ ২৬,৩২০ ভোট এবং পোস্টাল ভোট ১০৮।
আর ৪,২২৬ ভোট পেয়ে এই কেন্দ্রে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সিপিআইএম প্রার্থী সৃজীব বিশ্বাস। তার প্রাপ্ত ভোটের শতকরা হার ৩.৫৬ শতাংশ।
রবিবার সন্ধ্যার দিকে ভবানীপুরের সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুলে গিয়ে মমতার জয়ের সনদ (সার্টিফিকেট) সংগ্রহ করেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রত বক্সি।
No comments:
Post a Comment