প্রেসকার্ড নিউস ডেস্ক : আজকাল স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে। একই সাথে, বলে রাখা ভালো যে, আজকাল প্রায়শই মহিলারা তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে অসুবিধায় থাকেন। হ্যাঁ, আজকের যুগে, কোন ব্যক্তি কাজের কারণে তার শরীরের দিকে মনোযোগ দিতে পারছে না, বিশেষ করে মহিলারা। তারা তাদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খুবই অমনোযোগী, অথচ তাদের নিজের স্বাস্থ্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আগে থেকেই কিছু মেডিকেল টেস্ট করার বিষয়টিকে খুব কম গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু নিয়মিত মেডিক্যাল চেকআপ সকলের জন্য প্রয়োজনীয়। এতে শুধু রোগ প্রতিরোধ করা যাবে না, রোগের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্রই তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা করাও সহজ হবে।
আজ আমরা আপনাকে এমনই কিছু পরীক্ষা সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি যা প্রত্যেক মহিলারই জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
১. সম্পূর্ণ রক্ত গণনা:-
প্রথমে সম্পূর্ণ রক্ত গণনার কথা বলা যাক যা কোন ধরনের রক্তাল্পতা, সংক্রমণ এবং অনেক ধরনের ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারে। ২০ বছর বয়সের পর আমাদের দেশের মহিলাদের জন্য এই পরীক্ষা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কারণ, আমাদের দেশের বেশিরভাগ মহিলাদের মধ্যে আয়রনের ঘাটতি দেখা গেছে।
মনে রাখবেন যদি সিবিসি ঠিক থাকে, তবে এই পরীক্ষাটি বছরে একবার করা উচিৎ।
২. থাইরয়েড ও ফাংশন টেস্ট:-
এবার থাইরয়েড ফাংশন পরীক্ষা। ২০ বছর বয়সের পরে, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার সাথে থাইরয়েড পরীক্ষা করা উচিৎ। বলে রাখা ভালো যে, এই রক্ত পরীক্ষা হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম শনাক্ত করার জন্য করা হয়।
যদি ফলাফল স্বাভাবিক হয়, তাহলে এই পরীক্ষাটি বছরে একবার করতে বলা হয়। জরিপ অনুযায়ী, আমাদের দেশে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েড ব্যাধি তিনগুণ বেশি দেখা যায়। ৩৫ বছর বয়সের পরে হাইপোথাইরয়েডিজমের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৩. ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি পরীক্ষা:-
মহিলাদের জন্য ভিটামিন ডি এর পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর অভাবের কারণে, হাড় ক্ষয় এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়। ক্যালসিয়াম পরীক্ষায় রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে হাড়ের বিপাক দেখা যায়। মেনোপজের পরে মহিলাদের জন্য এই পরীক্ষাটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে কারণ একটি সময় পরে অস্টিওপরোসিসের প্রবণতা বেশি বেড়ে যায় তাই।
৪. লিপিড প্রোফাইল:-
এই রক্ত পরীক্ষা আমাদের শরীরে মোট কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, এইচডিএল এবং এলডিএল মাত্রা দেখায়। এবং এটি হৃদয়ের স্বাস্থ্যের কথাও বলে। এই রক্ত পরীক্ষা মোট কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, এইচ ডি এল এবং এল ডি এল মাত্রা পরিমাপ করে। সাধারণত এই পরীক্ষার ফলাফল স্বাভাবিক হওয়ার পর প্রতি ২ বছর পর করতে বলা হয়।
এবং এই কারণবশতই বছরে একবার এই পরীক্ষা গুলো প্রতিটি মহিলাকে অবশ্যই করতে হবে।
No comments:
Post a Comment