বিশেষ প্রতিবেদন, প্রেসকার্ড নিউজ: হাইভোল্টেজ ভবানীপুর; বর্তমানে রাজ্যবাসীর নজর আটকে এই কেন্দ্রেই। কারণ ৩রা অক্টোবর অর্থাৎ আগামীকাল ভবানীপুর উপনির্বাচনের রায় ঘোষণা হবে। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাগ্য পরীক্ষা। তার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার কতটা সুরক্ষিত, জানা যাবে ফলাফল ঘোষণার পরেই। কিন্তু তার আগেই সকলের মনে বিরাজ করছে এক টানটান উত্তেজনা। রাজ্যের আমজনতা মমতার জয়ের বিষয়ে কতটা নিশ্চিত, কী ভাবছেন তারা, সেকথা জানতেই আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম জনগণের দরবারে। কী বলছেন তারা দেখে নেওয়া যাক-
চেতলায় বসবাসকারী এক মহিলা জানান, 'এখানে দিদিই জিতবেন।' কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাকায় অনেক কাজ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাদের দীর্ঘদিনের জলের সমস্যার সমাধান হয়েছে।কাজ করেছেন, তাই স্বাভাবিক দিদির জয় নিশ্চিত।
বয়স্ক এক ব্যক্তি শঙ্কর দাসও মমতার জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত। তিনি বলেন, 'তৃণমূলই জিতবে। কারণ এখন তাদেরই রাজ, তারাই সব। দিদিই আসবেন ক্ষমতায়।'
দেবাশীষ কর নামে অপর একজন তো দাবীই করে বসলেন, ৫০ থেকে ৬০ হাজার ভোটে জিতবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ উনি রাজ্যের জন্য যা যা করেছেন, ওনার কাজ দেখেই ভবানীপুরের মানুষ ওনাকে ঢেলে ভোট দিয়েছেন। তিনি এও বলেন, "কোনও উপনির্বাচনে এত ভোট পড়ে না। এবার প্রায় ৬০% ভোট পড়েছে। ওনার (মমতার) সব প্রকল্প দ্বারাই মানুষ উপকৃত হয়েছেন। নন্দীগ্রামে কী হয়েছে সেটা সবাই জানে, এনআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী একজনকে জেতানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তা পরিবর্তন হয়ে গেল, এরকম আগে কখনও হয়নি। আমরা বুঝতেই পারছি আসল ঘটনা কি! হেরেছেন সেটা মেনে নিয়েছি, তবে এর ফল কাল দেখতে পাবেন।"
অপর এক যুবক রাহুল সাহা তো মতামত জানাতে গিয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন। তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী যে, উনি (মমতা) ৭০ থেকে ৭৫ হাজার ভোটে লিড করবেন। সংখ্যাটা বেশি হলেও হতে পারে। কারণ মানুষ যেভাবে আনন্দ করে ভোট দিয়েছেন, তাতে এটাই হওয়ার কথা। রাহুল এও দাবী করেন, 'বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন। সারা দেশে মোদী বিরোধী মুখ হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে তিনি রেকর্ড ব্রেকিং ভোটে জিতবেন, এটাই স্বাভাবিক।'
No comments:
Post a Comment