বিয়ের তোরজোর হাসি ঠাট্টা, হঠাৎ কেন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ল শ্রীময়ীর ডিথি - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 9 October 2021

বিয়ের তোরজোর হাসি ঠাট্টা, হঠাৎ কেন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ল শ্রীময়ীর ডিথি


প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: ডিথির বিয়ের তোরজোর চলছে। অর্না, অঙ্কিতা, ডিঙ্কা সবাইকে নিয়ে বিয়ের শাড়ি-গহনা দেখাতে থাকে শ্রীময়ী। রোহিতও সেখানে উপস্থিত। 'বিয়েতে কি শাড়ি পরবে তোমরা দেখে নেবে', দুই বৌমাকে বলে শ্রীময়ী। এমন সময় জ্যেঠিমা এসে হাজির, তবে এবার আর মুখ ঝামটা নয়, এ যেন এক অন্য জ্যেঠিমা। সকলের সঙ্গে তিনিও খুশি ডিথির বিয়ে নিয়ে। রাগ দেখানোর পরিবর্তে সবাইকে বলে নিয়ম মেনে বিয়েটা সারতে। অর্নাকে শাঁখ এনে বাজাতে বলে। কিন্তু অর্না তো শাঁখ বাজাতে পারে না, শাঁখ বাজায় ডিঙ্কা। এতে অবশ্য একটা হাসিখুশির পরিবেশ তৈরি হয়। 


এমন‌ সময় ডিথি তার বাবার কথা মনে করে আবেগপ্রবণ হয়ে পরে। তবে রোহিতের মত মানুষের সান্নিধ্য পেয়ে সে ধন্য। নিজের করা সব ভুল‌স্বীকার করে নেয় ডিথি। এমন সময় জ্যেঠিমা বলে ডিথিকে শান্তনা দিয়ে। নিজের বাবা না করলে পালক বাবা করবে। সবাই অবাক হয়। তখন শ্রীময়ীকে জ্যেঠিমা বলে, 'তোমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলাম, আমি ভেবেছিলাম তুমি যদি এই পরিবারে থাকতে না দাও। আমার ছেলেরা তাড়িয়ে দিয়েছে, শেষ বয়সে কোথায় যেতাম। কিন্তু আমার অপমান তুমি আমাকে কখনোই ফিরিয়ে দাওনি। তবে তুমি ঐ একটা কথায় বুঝিয়ে দিয়েছিলে যে প্রয়োজনে তুমিও মুখ খুলতে পারো, রুখে দাঁড়াতে পারো। তারপর থেকেই আমি পাল্টে যাই। আমি এটাও বুঝি তুমি এই পরিবারের জন্য কতটা ভাবো। তোমরা সবাই আমার চাঁদ বাবাকে কত ভালোবাসো।' কান্নায় ভেঙে পড়ে জ্যেঠিমা এসব বলতে বলতে। 


তখন রোহিত ও শ্রীময়ী ওনাকে শান্তনা দেয়। শ্রীময়ী জ্যৈঠিমাকে বলে, 'আপনি ও বাবা দুজনে মিলে নাতনির বিয়েতে সব করবেন।' এরপর আবার বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে শুরু হয় সকলের আলোচনা। হাসি ঠাট্টায় মেতে ওঠে সকলে। রোহিত বলে, 'আমার মেয়ের বিয়েতে আমি সবাইকে চাই, একেবারে গমগম করবে বাড়ি।' 


এই সময় জ্যেঠিমা বলে, 'মেয়ের বিয়েতে শ্রীময়ী জামাই বরণ করবে কোরিয়াল বেনারসী কিনে দিসনি?' রোহিত বলে ভুল হয়ে গেছে কালই চলে আসবে শাড়ি। এরপরই অর্না, অঙ্কিতার শাড়ি ও ডিঙ্কার নতুন পোশাক আনার কথাও হয়। সঙ্গে জ্যেঠিমারও। কিন্তু তিনি বলেন, 'আমি বুড়ো মানুষ আমাকে কে দেখবে?' শ্রীময়ী মজা করে বলে, 'আমি ও আপনার চাঁদ বাবা দেখব কেউ না দেখলে। আর তাছাড়া ছোটুর বন্ধুরা তো রয়েছেই। তারা তো এসেই ডিথির সতীনকে খুঁজবে, আপনিই তো ডিথির সতীন। এইভাবে হাসি মজার মধ্যে দিয়ে শেষ হয় শনিবারের পর্ব।'

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad