রাতে ঠিক করে ঘুম না হলে শিশুদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। তবে ঘুমাবেটা কখন? সকাল হলেই ফোন নিয়ে বসে যায়। মোবাইলের নেশা কেড়ে নিচ্ছে ঘুম। ফলে রাতে বিছানায় শুয়ে মোবাইলে গেম খেলার বাজে অভ্যাস গড়ে উঠছে। বাড়ির পুষ্টিকর খাবার না শিশুরা খেতে চাইছে বাইরের খাবার। এই সব কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঘুম। ঘুম যাতে ঠিক মতো হয়, তার জন্য প্রতি দিন শিশুকে নির্দিষ্ট কিছু খাবার খাওয়ানো জরুরি।
ডিম
ডিম খেতে শিশুরা ভালবাসে। ডিম সিদ্ধ হোক বা ডিমের ওমলেট শিশুকে ভাত বা রুটির সঙ্গে খাওয়ান। ডিমে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান নাম এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড, যা সেরোটোনিন উৎপাদনে সহায়তা করে। এই সেরোটোনিনের ফলে ঘুম গাঢ় হয়। এ ছাড়া ডিমের মতো পুষ্টিকর প্রোটিন প্রতি দিন খাদ্যতালিকায় রাখলে শিশুর শারীরিক বিকাশ হবে।
দুধ
শিশুদের শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি দেয় দুধ। দুধ এমনি খেতে ভাল না বাসলে কোনও হেল্থ ড্রিংকের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। ঘুমোনোর আগে গরম দুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। বয়স কম হোক বা বেশি সকলেই ভাল ঘুমের জন্য রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম দুধ খেতে পারেন। দুধেও পর্যাপ্ত পরিমাণে ট্রিপটোফ্যান থাকায়, তা সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরিতে সহায়তা করে। এর ফলে ঘুম গভীর হয়।
খেজুর
শিশুদের খেজুর খাওয়াতে পারেন। খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি-৬, এগুলি ভাল ঘুমের পক্ষে সহায়ক। প্রতি দিন ৪-৫টি করে খেজুর শিশুকে খাওয়ান, ঘুম ভাল হবে।
No comments:
Post a Comment