দেশে ক্রমাগত মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। ডিজেল ও পেট্রোলের দাম বৃদ্ধির কারণে দৈনন্দিন ব্যবহারের সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া। টমেটো, পেঁয়াজের দাম ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে, কিছু কিছু জায়গায় টমেটোর দাম শত শত পর্যন্ত চলে গেছে। অন্যদিকে, সরকারি পরিসংখ্যান ভিন্ন গল্প বলে।
সপ্তাহে দাম বেড়েছে আড়াই গুণ
এক সপ্তাহ আগে, এক কেজি টমেটোর দাম ছিল মাত্র ৪০ টাকা। একই সময়ে, কিছু জায়গায় টমেটোর হার ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। একই সঙ্গে গত ৫ দিনে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। খুচরা বাজারে এক কেজি পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা। আলুর দামও বেড়েছে সামান্য।
একই সময়ে, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন ভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, দাম কমানো এবং ন্যূনতম স্টোরেজ বজায় রাখার জন্য, বাফার থেকে পেঁয়াজ মজুদ ফার্স্ট-ইন-ফার্স্ট-আউট নীতিতে মুক্তি পাবে (FIFO) আগস্ট, ২০২১ এর শেষ সপ্তাহ থেকে। তিনি যাচ্ছেন।
পেঁয়াজ প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৫৭ টাকায় বিক্রি হয়
বিভাগের মতে, ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লীতে পেঁয়াজের দাম ৪৪ টাকা প্রতি কেজি। একইভাবে মুম্বাই, কলকাতা এবং চেন্নাইতে দাম ছিল যথাক্রমে ৪৫ টাকা, ৫৭টাকা এবং ৪২ টাকা প্রতি কেজি। পেঁয়াজের সর্বভারতীয় খুচরা মূল্য ১৪ অক্টোবর অনুযায়ী ৩৭.৬ টাকা কেজি ছিল, যখন পেঁয়াজের সর্বভারতীয় পাইকারি মূল্য ৩০০২,২৫ টাকা প্রতি কুইন্টাল ছিল।
দাম কমানোর প্রচেষ্টা
সরকারের দাবী অনুযায়ী, আলু ও টমেটোর দাম নরম রাখার চেষ্টা চলছে। দিল্লীতে আলু ও পেঁয়াজের খুচরা মূল্য যথাক্রমে ২০ টাকা এবং ৫৬টাকা কেজি। আলু এবং টমেটোর সর্বভারতীয় খুচরা মূল্য যথাক্রমে ২১.২২ টাকা কেজি এবং ৪১.৭৩ টাকা কেজি।
সরকারের দাবী যাই হোক না কেন, কিন্তু সাধারণ মানুষের উপর মূল্যস্ফীতির প্রভাব ক্রমাগত বাড়ছে। তবে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির অনেক কারণ রয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষে অনেক রাজ্যে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে সবজি চাষে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। একই সঙ্গে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহনও বেড়েছে।
No comments:
Post a Comment