বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যক্ষ্মা নিয়ে নতুন প্রতিবেদন উদ্বেগজনক। গ্লোবাল টিউবারকিউলোসিস রিপোর্ট-২০২১ অনুসারে, ২০২০ সালে গত এক দশকের মধ্যে টিবি জনিত মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দেশে মোট ১৫ লক্ষ মৃত্যুর মধ্যে মাত্র ৫ লাখের খবর পাওয়া গেছে। এটি গত বছরের করোনায় মৃতের সংখ্যার চেয়েও বেশি। গবেষণার মতে, ২০২০ সালে মৃত্যুর হার প্রায় ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
WHO এর লক্ষ্য ছিল ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে যক্ষ্মার মৃত্যুহার ৩৫% কমিয়ে আনা, কিন্তু এই লক্ষ্য পূরণ হয়নি। কমেছে মাত্র ৯.২শতাংশ। WHO তার প্রতিবেদনে দেশগুলোকে ভালো টিবি চিকিৎসায় বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেছে।
যক্ষ্মা, এটি কীভাবে ছড়ায় এবং কীভাবে এটি প্রতিরোধ করা যায়: মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস হল ব্যাকটেরিয়া যা যক্ষ্মা সৃষ্টি করে। যার সরাসরি প্রভাব পড়ে ফুসফুসে। তারপর এটি শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। একজন যক্ষ্মা রোগীর লালায় জীবাণু থাকে যা অন্য মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে। যক্ষ্মা রোগী হাঁচি, কাশি বা কথা বললে তার সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হ্যাঁ, যদিও প্রতিটি টিবি সংক্রমণ ক্ষতিকর নয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হলে জীবাণু সংক্রমিত হতে পারবে না। এটি দ্রুত এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের লোকেদের প্রভাবিত করে। ডায়াবেটিস রোগী, উদাহরণস্বরূপ, বা ধূমপানকারী কেউ।
ফলস্বরূপ, সংক্রমণের হার আকাশছোঁয়া। গলা ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া, মাথাব্যথা এবং ক্র্যাম্প সবই গুরুতর যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ। যক্ষ্মা সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা সম্ভব, তাই যদি এটি ঘটে তবে সময়মতো আপনার ওষুধ গ্রহণ এবং কোর্সটি সম্পূর্ণ করা দরকার।
No comments:
Post a Comment