উৎসবের মরসুমে ভেজ কাঁঠাল বিরিয়ানি ট্রাই করুন, আমিষের অভাব বোধ করবেন না - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 30 October 2021

উৎসবের মরসুমে ভেজ কাঁঠাল বিরিয়ানি ট্রাই করুন, আমিষের অভাব বোধ করবেন না

 



 এই উৎসবের মরসুমে বেশিরভাগ মানুষই শুধু সবজি খেতে পছন্দ করেন। যারা উপবাস করেন তাদের জন্য একদিন আগে আমিষ খাওয়া নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে যারা আমিষের অভাব অনুভব করেন তাদের জন্য কাঁঠালের বিরিয়ানি একটি দারুণ রেসিপি। এই রেসিপিটি সম্পূর্ণরূপে নন ভেজ উপভোগ করে। কাঁঠালও একটি সুপারফুড যাতে অনেক ধরনের পুষ্টি পাওয়া যায়। আপেল, কলা, অ্যাভোকাডোর মতো ফলের চেয়ে কাঁঠালে বেশি ভিটামিন ও খনিজ পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য, আলসার এবং ডায়াবেটিসে কাঁঠাল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাই এই উৎসবের মরসুমে কাঁঠাল বিরিয়ানি খাওয়া শুধু আপনাকে দারুণ স্বাদই দেবে না, স্বাস্থ্যের দিক থেকেও এটি একটি নিখুঁত খাবার হিসেবে বিবেচিত হবে।


এই সময়ে উৎসবের মরসুম চলছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো উৎসব বা উৎসব আসে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ নন-ভেজ এড়িয়ে চলে। কিন্তু আপনি যদি নন-ভেজ খেতে চান, তাহলে কাঁঠালের বিরিয়ানি আপনার জন্য উপযুক্ত বিকল্প। এই রেসিপিটি ভেজ এবং নন-ভেজ উভয়েরই পছন্দ হবে। কাঁঠাল বিরিয়ানি একটি গ্লুটেন ফ্রি খাবার যাতে সুগার বা রক্তচাপের কোনো ভয় থাকে না। কাঁঠালও একটি সুপারফুড যাতে অনেক ধরনের পুষ্টি পাওয়া যায়।


আপেল, কলা, অ্যাভোকাডোর মতো ফলের চেয়ে কাঁঠালে বেশি ভিটামিন ও খনিজ পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য, আলসার এবং ডায়াবেটিসে কাঁঠাল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাই এই উৎসবের মরসুমে কাঁঠাল বিরিয়ানি খাওয়া শুধু আপনাকে দারুণ স্বাদই দেবে না, স্বাস্থ্যের দিক থেকেও এটি একটি নিখুঁত খাবার হিসেবে বিবেচিত হবে। আসুন জেনে নেই কাঁঠালের বিরিয়ানির রেসিপি সম্পর্কে।


কাঁঠাল বিরিয়ানির উপকরণ

১ বাটি কাঁঠাল

২ কাপ প্যান

2২ কাপ চাল (অর্ধেক সিদ্ধ)

১ টেবিল চামচ কাজু

১ টেবিল চামচ বাদাম

১ চা চামচ আদা রসুন বাটা

১ টেবিল চামচ ধনে গুঁড়া

৪ টি লঙ্কা (কাটা)

১ চিমটি জাফরান

১ চা চামচ গোল মরিচ গুঁড়া

১ চা চামচ জিরা গুঁড়া

১ চা চামচ লাল লঙ্কা গুঁড়ো

১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া

১ টেবিল চামচ গরম মসলা গুঁড়া

১ টেবিল চামচ তেল

লবন

ধনে পাতা

২ চামচ ঘি

পুদিনা

১টি তেজ পাতা

২ টি এলাচ

২টি সবুজ এলাচ

২টি দারুচিনি


কিভাবে কাঁঠালের বিরিয়ানি বানাবেন


প্রথমে একটি প্যানে কম আঁচে তেল গরম করুন। এতে পেঁয়াজ যোগ করুন এবং সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। পেঁয়াজ ভাজার পর কাজু ও বাদাম দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন। এরপর তেলে কাঁঠালও ভাজুন। কাঁঠাল ভাজার সময় এতে সব ধরনের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। পেঁয়াজ, জিরা গুঁড়া, গোল মরিচ, জাফরান, লাল লঙ্কা গুঁড়া ইত্যাদি যোগ করুন। আদা-রসুন পেস্ট এবং লেবুর রস যোগ করুন এবং মেশান।  এবার চালের একটি স্তর তৈরি করুন এবং তার উপরে অর্ধেক কাঁঠাল রাখুন। এর পরে একটি দ্বিতীয় স্তর তৈরি করুন। এর পর সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কম আঁচে থাকতে দিন।



কাঁঠালের বিরিয়ানি তৈরির দ্বিতীয় পদ্ধতিটিও ভালো। একটি পাত্রে কাঁঠাল রাখুন। এর ওপর আদা-রসুন পেস্ট, লবণ, লাল লঙ্কা গুঁড়া ও দই দিয়ে মেশান। ঢেকে রাখুন দুই ঘণ্টা। এবার অন্য পাত্রে ঘি নিন। এতে মেরিনেট করা কাঁঠাল যোগ করুন। অল্প আঁচে রান্না করা শুরু করুন। এতে গরম মসলা দিন। এবার ভেজানো চাল দিয়ে গরম জল ঢালুন। আপনি চাইলে চালের একটি স্তর তৈরি করুন। এর পর প্যানে মাখানো ময়দা নিন এবং সিল করুন। কম আঁচে ২০ মিনিট রান্না করুন। বিরিয়ানি বের করে রাইতা বা চাটনির সাথে পরিবেশন করুন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad