ভাই বোনের সম্পর্ক এমন যে, ভালোবাসা ও স্নেহ থাকলে ভাই বোনের মধ্যেও বিরোধ হয়। কিছু সম্পর্ক একজন ব্যক্তির এত ঘনিষ্ঠ যে সে সারাজীবন তাদের সঙ্গ চায়। বোন ও ভাইয়ের ভালোবাসায় এমন বিশেষ ঘটনা ঘটে। তারা দুজনই একে অপরের এত কাছে যে তারা একে অপরের কথা এমনকি বাবা-মায়ের কাছ থেকেও গোপন রাখে। তবে ভাইদের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু বিষয় আছে যা দেখতে ও শুনতে ছোট মনে হলেও বোনের সঙ্গে যে বন্ধন তৈরি হয় তাতে ক্ষতি করতে পারে।
গৃহস্থালির কাজে সাহায্য না করা
আজকের বাবা-মা তাদের ছেলে মেয়েকে সমান লালন-পালন করেন। তবে অনেক বাড়িতেই পরিবারের দায়িত্বের বেশির ভাগ চাপ এখনও মেয়ের মাথায়। এমতাবস্থায় ভাইয়েরাও যখন বোনের ভরসায় সব কাজ ছেড়ে দিয়ে হাত ভাগাভাগি করে না, তখন তা বোনদের বিরক্ত করে। ছেলেদের বোঝা উচিৎ যে ঘরের কাজগুলি কেবল তাদের বোনের নয়, তাদের দায়িত্বও। অভিভাবকদের মনে রাখতে হবে, ছোটবেলা থেকেই মেয়ের পাশাপাশি ছেলেকেও গৃহস্থালির কাজে সম্পৃক্ত না করলে ছেলের মনে একটা অনুভূতি আসবে যে, রান্নাঘর ইত্যাদির দায়িত্ব শুধু মেয়েদের। এই দুটি জিনিসের সমান দায়িত্ব দেওয়া ভাল।
ভাইয়ের নিষেধাজ্ঞা
অনেক ভাই তাদের বোনদের উপর অত্যধিক সীমাবদ্ধতা রাখে। জামাকাপড় থেকে বোন কোথায় যাচ্ছে বা তার বন্ধু কারা? ছেলেরা এই সব কিছু দিয়ে তাদের উপর কর্তৃত্ব করার চেষ্টা করে। একজন বোনের অধিকারী হওয়া বা একজন ভাইয়ের প্রতি যত্নশীল হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু তাদের বাধার সীমা জানা উচিৎ। তারা যদি ভাবতে শুরু করে যে, তারা যাই বলুক, তাদের বোনকেও তাই করা উচিত, তাহলে এটা সম্ভব নয়। এই বিষয়গুলোও দুজনের মধ্যে দূরত্ব আনতে পারে।
খুব বেশি বিরক্ত করবেন না
ছোটখাটো বিষয়ে বোনদের বিরক্ত করা বা উত্যক্ত করা ভাইদের অভ্যাস। তবে, তাদের মনে রাখা উচিৎ যে প্রতিবার এটি করা সত্যিই বোনকে অনেক বিরক্ত বা আঘাত করতে পারে। তাই ঠাট্টা বা বিরক্ত করুন, তবে এই জিনিসটি যেন তাদের ক্ষতি না করে সেদিকেও খেয়াল রাখুন।
বোনের সমস্যায় কান না দেওয়া
বোনেরা তাদের বাবা-মায়ের চেয়ে তাদের ভাইদের সাথে জিনিস ভাগ করে নিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। কারণ তারা বিশ্বাস করে যে তারা তাদের বুঝতে পারবে। তবে ভাই যখন তার বন্ধুদের নিয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে বা বোনের সমস্যায় কান দেয় না তখন এটি তাদের কষ্ট দেয়। এই কারণে, তারা অন্যের উপর নির্ভরশীল হতে শুরু করে, যা ধীরে ধীরে মানসিক বন্ধনকে প্রভাবিত করে।
No comments:
Post a Comment