আজ সামনে আসতে পারে ক্যাপ্টেনের নতুন দলের নাম

বিধানসভা নির্বাচনের আগে পাঞ্জাবে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে।  মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর, ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং কংগ্রেসের উপর ক্রমাগত আক্রমণ করছে।  এবার আরেকটা বড় বিস্ফোরণ করার মেজাজে আছেন অধিনায়ক।  পাঞ্জাবের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন সিএম অমরিন্দর সিং আজ (বুধবার) সকাল ১১টায় একটি সংবাদ সম্মেলন করছেন।  এ সময় তিনি তার নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে পারেন।  এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে, অন্যদিকে কংগ্রেসে আলোড়ন তীব্রতর হয়েছে।

 দীপাবলির আগে বড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ

 ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর রাজ্যে রাজনৈতিক লড়াই শুরু হয়েছে।  এবার দিওয়ালির আগে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং।  ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।  চণ্ডীগড়ের এই সংবাদ সম্মেলন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা-জল্পনার বাজার সরগরম।  সবার চোখ স্থির হয়ে আছে অধিনায়কের দিকে।  সবচেয়ে বেশি হৈচৈ কংগ্রেস শিবিরে।

 

 ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-এর মিডিয়া উপদেষ্টা রাভিন ঠুকরাল সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইট করে এই বিষয়ে তথ্য দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এর আলোচনা আরও তীব্র হয়েছে যে ক্যাপ্টেন তার পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ ঘোষণা করতে পারেন।  ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বুধবার তার নতুন দল ঘোষণা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।  সূত্রের খবর, ক্যাপ্টেনের নতুন দলের নাম হবে পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস।

 

 প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং গত কয়েকদিন ধরে তার নতুন রাজনৈতিক পদক্ষেপের জন্য সমর্থক নেতাদের সঙ্গে চিন্তাভাবনা করছেন।  ক্যাপ্টেন অমরিন্দরের সঙ্গে অনেক কংগ্রেস নেতা ও বিধায়কের যোগাযোগ রয়েছে বলেও আলোচনা হয়েছে।  এমন পরিস্থিতিতে ক্যাপ্টেনের নয়া দল ঘোষণায় আলোড়ন উঠেছে কংগ্রেসে। ৫২ বছরের রাজনৈতিক যাত্রায় ৭৯বছর বয়সী অধিনায়কের জন্য এটি দ্বিতীয়বার, যখন তিনি নিজের রাজনৈতিক দল গঠন করবেন।

 ক্যাপ্টেন ১৯৯২ সালে আকালি দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে শিরোমণি আকালি দল (পান্থক) নামে একটি দল গঠন করেন কিন্তু তিনি তাতে সফল হতে পারেননি।  ১৯৯৮ সালের নির্বাচনে তাকে পাতিয়ালা ও তালওয়ান্দি সাবো দুটি আসনে পরাজিত হতে হয়েছিল।  এরপর আবার কংগ্রেসে যোগ দেন ক্যাপ্টেন।

 

 ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং যদি আজ একটি নতুন দল ঘোষণা করেন, তবে পাঞ্জাবে কংগ্রেসের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে ক্যাপ্টেন।  তাই অধিনায়কের প্রতিটি পদক্ষেপে কড়া নজর রাখছে কংগ্রেস।