মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মৃত্যুর হুমকি চিঠির তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। বুধবার বিকেলে রাজাবাজার বিজ্ঞান কলেজে গিয়েছিলেন গ্যাং-বিরোধী শাখার এক অফিসার। সেখানে তিনি রাহুবাজার বিজ্ঞান কলেজের অধ্যাপক মহুয়া ঘোষ ও সচিব অমিত রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
তবে পুলিশি জেরার পর অধ্যাপক মহুয়া ঘোষ বলেন, "আমি এ ধরনের কোনও চিঠি কাউকে পাঠাইনি। আমার নামে চিঠি দিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। তদন্ত চলছে। তাই এর বেশি কিছু বলব না। আমি তদন্ত আধিকারিকদের এ কথা বলতে বলেছি।"
মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আলাপন বাবুর স্ত্রী সোনালী চক্রবর্তীকে। মঙ্গলবার রাতে আলাপনা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি পাঠিয়ে লালবাজারের কথা জানান। এর পর হুমকির চিঠি পাঠানো হয় হেয়ার স্ট্রিট থানায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। চিঠিতে বলা হয়েছে, আলাপন ব্যানার্জীকে খুন করা হবে। কেউ তাকে বাঁচাতে পারবে না।' চিঠির প্রেরক হিসেবে দুটি নাম ব্যবহার করা হয়েছে। সেই দুই নাম গৌরহরি মিশ্র ও মহুয়া ঘোষ।
পুলিশি তদন্তে জানা গেছে, হুমকিমূলক চিঠি প্রেরক দুজনেই রাজাবাজার বিজ্ঞান কলেজের অধ্যাপক। স্পিড পোস্টের মাধ্যমে জিপিওর পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এরপর চিঠির প্রেরককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
আলাপনা ব্যানার্জি সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের কলকাতা বেঞ্চে মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লীতে। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন আলাপন বাবু। বুধবার হাইকোর্টে এ বিষয়ে শুনানি হয়। এদিকে আলাপন বাবুকে হত্যার হুমকির চিঠিতে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, এমন হুমকি চিঠি কে দিল? চিঠি পাঠানোর পেছনে উদ্দেশ্য কী? উত্তর খুঁজছে কলকাতা পুলিশ। তদন্তে সহযোগিতা করছেন লালবাজার গোয়েন্দারা।
No comments:
Post a Comment