দুর্বল জীবনধারা, আসক্তি এবং শারীরিক ব্যায়ামের অভাবের কারণে, বিশ্বের জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগের তুলনায় এখন খাবারের পরিবর্তন হয়েছে, ফাস্টফুড এবং বেশি ভাজা, ভাজা মশলাযুক্ত খাবার পাকস্থলীতে উপস্থিত ভালো জীবাণুকে হত্যা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হয়। এছাড়াও অন্যান্য সমস্যা আছে যা উপেক্ষা করা যেতে পারে। কিন্তু এই ৫ টি উপায় অবলম্বন করে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পারেন। দেখে নেওয়া যাক :
যদি আপনার বদহজম/কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে তবে বেশি করে জল পান করুন। প্রতি ঘন্টায় এক গ্লাস জল পান করতে ভুলবেন না। যদি আপনার ওজন বেশি না হয়, তাহলে চিনির মিছরি এবং মৌরি মিশিয়ে নিন। এটি দ্রুত ফেটে যায় এবং স্বাদ ভাল হয়। জলে লবণ, চিনি এবং ভাজা জিরে মিশিয়ে খাওয়াও ভালো।
লেবুর উপর লবণ লাগিয়ে চুষে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যেও উপশম হয়। রক লবণের সঙ্গে ভাজা ক্যারাম বীজ গ্রহণ করলে হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে ২-৩ গ্লাস জল পান করুন। এটি অন্ত্রের উপর চাপ সৃষ্টি করবে এবং পেট সহজেই পরিষ্কার হবে। গরম জল থাকলে ভালো হয়।
পাকস্থলীর জন্য ফাইবার খাদ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি অন্ত্রের সংকোচনে সাহায্য করে। এর জন্য যব, ছোলা এবং গমের রুটি খান। শুধু তুষ এবং খামিরবিহীন রুটি খান। ময়দা খাবেন না। সবুজ শাক -সব্জি তেও ফাইবার বেশি থাকে। ফলের খোসা খাবেন না। খোসা সরিয়ে ফাইবারের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। সকালের জলখাবারে ফাইবার সমৃদ্ধ ওটমিল অন্তর্ভুক্ত করুন।
রোজ ১০০গ্রাম ছোলা খাওয়া উচিৎ । এটি প্রোটিন এবং ক্যালোরি সমৃদ্ধ। এই কারণে, শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্তিও পায়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যেও তাৎক্ষণিক উপশম দেয়।
৫.কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে ভালো ঘুম অপরিহার্য। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমান। খুব ভোরে উঠুন। মানসিক চাপও কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি করে। তাই এমন কাজ করুন যাতে মানসিক চাপ না থাকে। নেশা হলে অবিলম্বে ছেড়ে দিন। এটি হজমশক্তিকেও খারাপ করে।
No comments:
Post a Comment