ডেঙ্গু্র মশা সাধারণত স্বচ্ছ জলে ডিম পাড়ে। এটি দিনের বেলায় কামড়ায়। রোগীর প্রাথমিকভাবে প্রচণ্ড মাথাব্যথা হয়। এর পরে জ্বর, সর্দি, ক্লান্তি, ক্ষুধা হ্রাস, বমি এবং ঘাবড়ে যাওয়া, মাড়ি থেকে রক্তপাত হয় ।
রোগীর শরীরে প্লেটলেটও কমে যায়। অবহেলা রোগীর মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। তাই ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। স্বজন ও অন্যদের নিরাপত্তার জন্য রোগীকে মশারির ভেতরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডিএসও।
আমরোহার জেলা আধিকারিক ডক্টর সত্যপাল সিংয়ের মতে, সবাই মনে করে যে ডেঙ্গু মশা শুধুমাত্র এমন জায়গায় জন্মায় যেখানে নোংরা জল জমে থাকে, তবে এটি তাদের ভুল ধারণা। যে মশা ডেঙ্গু ছড়ায় তা কেবল পাত্র, কুলার, ড্রাম বা অন্য কোনো স্থানে জমা পরিষ্কার জলে ডিম পাড়ে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদফতর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। সংক্রমিত স্থানে মশার লার্ভা দূর করতে ফগিং, ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। পুকুরে গাম্বুজি মাছ ছাড়া হয়েছে। এরপরও কমছে না ডেঙ্গুর প্রকোপ। তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।
বাড়ির আশেপাশে হাঁড়ি, কুলার, পাত্রে জল জমা হতে দেওয়া উচিৎ নয়। কোনো ব্যক্তির মধ্যে ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিন। ডেঙ্গু রোগীকে সাধারণ মশা কামড়ালেও অন্য আত্মীয়দের মধ্যেও ডেঙ্গু ছড়াতে পারে।
তাই রোগীকে মশারির ভেতরে রাখুন। জ্বর আসার সাথে সাথে প্যারাসিটামল ঔষধ ব্যবহার করুন। তারপরও যদি উন্নতি দেখা না যায়, তাহলে রোগীকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান এবং ELISA পরীক্ষা করান।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যবস্থা :কুলার, এসি, পাত্র এবং টায়ার ইত্যাদিতে আপনার বাড়ির ভিতরে এবং আশেপাশে জল জমতে দেবেন না। জলের কল খোলা রাখবেন না। জানালা ও দরজায় জাল লাগান।
দিনে দুবার ঘরের কোণায় কীটনাশক স্প্রে করুন। ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করুন। ফুল হাতা কাপড় পরুন। ক্রমাগত জ্বর এবং ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
No comments:
Post a Comment