স্ট্রেসের মধ্যে থাকা লোকেদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি! - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 30 October 2021

স্ট্রেসের মধ্যে থাকা লোকেদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি!




  অজয় ​​কুমার, ৪০, আইএমএম-এর একজন কর্মচারী, বেশ কয়েকদিন ধরে মাথাব্যথা ছিল।  একদিন প্রচণ্ড মাথাব্যথার সঙ্গে বমি শুরু হলো।  কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অজয়ের কণ্ঠ ক্ষীণ হতে থাকে।  সে অজ্ঞান হয়ে যায়।  স্বজনরা তাকে নিউরোসার্জনের কাছে নিয়ে যান।  তদন্তে জানা যায়, তিনি মারাত্মক ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন।


 নিউরোসার্জন সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ দিয়ে মস্তিষ্কে রক্ত ​​জমাট বাঁধা কমিয়ে দেন।  অজয় চিকিৎসার পর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন।  আসলে অজয়ের মতো কয়লাক্ষেত্রের যুবকরাও স্ট্রোকের শিকার হচ্ছেন।  এর আগে, ৬০ বছরের বেশি বয়সী রোগীদের মধ্যে স্ট্রোকের ঘটনা দেখা যেত, যারা বিপি, চিনির উচ্চ কোলেস্টেরল, হৃদরোগ ইত্যাদিতে ভুগছেন।


 কিন্তু এখন তরুণরাও নানা ধরনের মানসিক চাপ, বিষণ্নতা ও দুরারোগ্য রোগের কারণে স্ট্রোকের শিকার হচ্ছে।  তিনি বলেন, স্ট্রোকের তিন ঘণ্টা পরের উপসর্গকে বলা হয় গোল্ডেন আওয়ার।  এই তিন ঘণ্টার মধ্যে যদি নিউরোসার্জনের কাছে পৌঁছানো যায়, তাহলে স্ট্রোক থেকে প্রাণ বাঁচানো যাবে।  এতে অজয় ​​কুমারের জীবনও রক্ষা পায়।


ব্রেন স্ট্রোক থেকে সর্বোচ্চ মৃত্যুর হার: ডাঃ রাজেশ বলেন, দেশে প্রতি বছর ১৮ লাখ মানুষ ব্রেন স্ট্রোকের কারণে মারা যাচ্ছে।  এর মধ্যে অর্ধেক মৃত্যুর কারণ সময়মতো হাসপাতালে না পৌঁছানো।  ধানবাদের মতো ছোট শহর হওয়া সত্ত্বেও এর জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি। খাদ্য ও পরিবেশ দূষণের কারণে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি।  এখন বিষয়টি ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে। 


ব্রেন স্ট্রোক দুই ধরনের হয়: ডাঃ রাজেশ বলেন, ব্রেন স্ট্রোক দুই ধরনের হয়।  একটি মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ ঘটে, যার মধ্যে মস্তিষ্কে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত শুরু হয়।  একটি প্রভাব স্ট্রোক আছে। এতে মস্তিষ্কে রক্ত ​​চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।  ধানবাদে ব্রেন হেমারেজের ঘটনা বেশি।  ডাঃ রাজেশ জানান, ব্রেন স্ট্রোকের মাঝামাঝি সময়ে মস্তিষ্কের ফোলা ৩০ মিলি-এর বেশি হলে তা গুরুতর বলে বিবেচিত হয়।  এটি মৃত্যু ঘটায়। 


স্বাস্থ্য বিভাগে নাম স্ক্রিনিং: অসংক্রামক রোগের পক্ষে স্বাস্থ্য বিভাগ দ্বারা স্ট্রোক রোগীদের স্ক্রিনিং করা হয়।  কিন্তু এই স্ক্রিনিং এখনও নামে চলছে।  এখন পর্যন্ত ২০১৯-২০ এবং ২০-২১ বছরে মাত্র ৪০ জন রোগী পাওয়া গেছে।  এর আগে সব সিএইচসিতে স্ক্রিনিং শুরু হয়েছিল।  কিন্তু এখন এসব তদন্ত বন্ধ।


 স্ট্রোকের লক্ষণ:প্রচন্ড মাথাব্যথা,অজ্ঞান হয়ে যাওয়া,মুখের বক্রতা,দুই হাত ঠিকমতো না তোলা।


 এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন:রক্তচাপ এবং সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখুন: এ ধরনের রোগীরা ঠাণ্ডা এড়িয়ে যান, ঠাণ্ডায় শরীরের শিরাগুলো সঙ্কুচিত হতে থাকে, তখন ঝুঁকি বেড়ে যায়।


 বিপি-সুগার রোগীদের সূর্য ওঠার পর হাঁটতে যেতে হবে। সুষম খাবার খেতে হবে।কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad