জামাত-ই-ইসলামী সন্ত্রাসী তহবিল মামলায়, জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের ৭ টি জেলার ১৭ টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। এ সময় অনেক অপরাধমূলক নথি ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। আজকের অনুসন্ধানে জামায়াতে ইসলামীর আধিকারিক ও সদস্যদের হদিস রয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগ উঠেছে
এনআইএ-র এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ, কুলগাম, গান্ডার ব্যান্ড, বান্দিপোরা, বারগাঁও, কিশতওয়ার এবং জম্মু জেলায় অভিযান চালানো হয়েছিল। এনআইএ তথ্য পেয়েছিল যে এই জায়গায় অভিযানের সময় জামাত ইসলামিক সন্ত্রাসের অর্থায়ন সম্পর্কিত কিছু নতুন জিনিস উদ্ধার করা যেতে পারে। তাই একযোগে ৭টি জেলার ১৭টি স্থানে একযোগে অভিযান চালানো হয়।
শীর্ষ এনআইএ আধিকারিক বলেছেন যে ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১-এ বিভিন্ন ফৌজদারি ধারায় এই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এ মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সংগঠনের সদস্যরা দেশ-বিদেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যা জম্মু ও কাশ্মীরে সহিংস ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে ব্যবহৃত হচ্ছে।
নতুন তরুণদের সন্ত্রাসের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী সংগঠন
এর পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন যে জামায়াতে ইসলামীও কাশ্মীরের যুবকদের বিভ্রান্ত করছে এবং বিচ্ছিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করছে। এ জন্য বিভিন্ন জায়গায় নতুন লোক নিয়োগও করা হচ্ছে এই সংস্থার পক্ষ থেকে। নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার চোখ যাতে সরাসরি তাদের ওপর না পড়ে সেজন্যই এসব নতুন নিয়োগ করা হচ্ছিল।
এনআইএ-র এক আধিকারিক বলেছেন যে কোনও নতুন যুবক যখন কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগ দেয়, কোনও পুরানো অপরাধমূলক রেকর্ড না থাকার কারণে, সে বহুবার অনেক সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতে সক্ষম হয়। এই কারণেই পাকিস্তানে বসে সন্ত্রাসী সংগঠনের কর্তারা তাদের জম্মু ও কাশ্মীরে নতুন লোক নিয়োগ করতে এবং তাদের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর নির্দেশ দিয়েছে।
এনআইএ-র তরফে জানানো হয়েছে, আজকের অভিযানে উদ্ধার হওয়া নথি ও সরঞ্জামগুলির তদন্তের কাজ চলছে এবং এর ভিত্তিতে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment