প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : সর্ষের তেল রান্নাঘরে খাবার রান্না করতে ব্যবহৃত হয়। এই সর্ষে তেল অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার, বিশেষ করে জয়েন্টের ব্যথায় একটি ঔষধ হিসেবে কাজ করে। শীত শুরুর সাথে সাথে অনেকেই আছেন যাঁরা বাত, হাঁটু এবং জয়েন্টের ব্যথায় ভুগতে শুরু করেন । এমন অবস্থায় সর্ষের তেলে কর্পূর মিশিয়ে ম্যাসাজ করুন। এই কারণে জয়েন্টের ব্যথা কখনই আঘাত করবে না এবং একই সাথে আপনার অনেক সমস্যাও দূরে থাকবে।
কর্পূর এবং সর্ষে তেলের মিশ্রণ কেন উপকারী: সর্ষের তেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণে সমৃদ্ধ। একইসঙ্গে কর্পুরে প্রদাহবিরোধী এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে, যা ভেষজ পণ্যের মতো কাজ করে।
সর্ষের তেল ও কর্পূর লাগানোর পদ্ধতি: সর্ষের তেল হালকা গরম করুন। কর্পূর ভালো করে পিষে মিশিয়ে নিন। কর্পূর দ্রবীভূত হলে, আক্রান্ত স্থানে লাগান। মনে রাখবেন যে যদি এই মিশ্রণটি মুখের মধ্যে যায় তবে এটি ক্ষতি করতে পারে, তাই এটি সাবধানে ব্যবহার করুন। এছাড়াও এটি শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
কিভাবে সর্ষের তেল কর্পূর ব্যবহার করবেন:
সংযোগে ব্যথা: রাতে ঘুমানোর আগে এই তেল দিয়ে আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করবেন । তারপর একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন। তবেই জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে।
ত্বকের সমস্যা দূর হবে: এটি মুখে লাগালে ব্রণ, বলিরেখা, দাদ, খোসা এবং চুলকানির মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এটি ১৫ মিনিটের জন্য প্রভাবিত স্থানে লাগানোর পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
বাতের ব্যথা উপশম: আপনি যদি বাতের সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। এটি ক্রমাগত ব্যবহার করলে, ব্যথা সহ ফোলা থেকে মুক্তি মিলবে।
রাতে ঘুমানোর আগে হাত -পা ভালো করে ম্যাসাজ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং রক্ত জমাট বাঁধবে না, যা হৃদরোগ থেকে রক্ষা করবে।
পিঠের ব্যথা চলে যাবে: প্রায়ই, এক জায়গায় বসে থাকার কারণে পিঠে ব্যথা এবং শক্ত হয়ে যাওয়ার সমস্যা বেশ সাধারণ হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। এই কারণে ব্যথা চলে যাবে।
চুলের জন্য ভালো: আপনি যদি চুল পড়া, খুশকি, শুষ্ক এবং প্রাণহীন চুলে অস্থির হয়ে থাকেন, তাহলে এই মিশ্রণটি একবার ব্যবহার করে দেখুন। এটি ১ মাস ধরে একটানা ব্যবহার করলে আপনি নিজেই পার্থক্যটি অনুভব করবেন।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি: সর্ষের তেলে কর্পূর মিশিয়ে ঘুমানোর আগে পায়ের তলায় ম্যাসাজ করুন। এটি নিয়মিত করলে চোখের দুর্বলতা দূর হবে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়বে। বাচ্চাদের উপরও এই পদ্ধতি করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment