প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : প্রতিটি দাঁতের পরা ও উঠার একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে। এর আগে যদি দুধের দাঁত পরে যায়, তাহলে স্থায়ী দাঁতগুলো আঁকাবাঁকা হয়ে যাবে।
অনেকে প্রশ্ন করেন, শিশুদের দাঁত কখন ব্রাশ করা উচিৎ? উঠার পর কয়বার ব্রাশ করবেন? প্রকৃতপক্ষে, দাঁতের যত্ন মায়ের গর্ভ থেকেই শুরু করা উচিৎ।
গর্ভবতী মায়েরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খায়। এর মধ্যে কিছু ওষুধ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া নেওয়া উচিৎ নয়। কারণ এর মধ্যে কিছু ওষুধও এমন, যা শিশুদের দাঁতের সমস্যা সৃষ্টি করে। এই ওষুধগুলি দাঁতের পাশাপাশি মুখেরও ক্ষতি করে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমইউ) অর্থোপেডিক বিভাগের সার্জন ডঃ ফারিয়া তাবাসসুম তানভী।
প্রায়ই দেখা যায় গর্ভাবস্থায় বারবার এক্স-রে করা হয়। এক্স-রে ভ্রূণের উপর প্রভাব ফেলে। শিশুদের উপর মায়ের ওষুধের প্রভাব পড়লে তাদের দাঁতের সার্জারি করতে হয়।
শিশুর জন্মের ছয় মাস পর প্রথম দাঁত দেখা যায়। কিছু ক্ষেত্রে এই সময় কমবেশি হতে পারে। শিশুর প্রথম দাঁত থাকা প্রতিটি পিতামাতার জন্য বড় আনন্দের। যখন শিশুকে ফিডারে খাওয়ানো হয়, তখন ফিডারের স্তনের বোঁটায় চাপ পড়লে মাড়ি ফুলে যায়। অনেক সময় শিশুরা তাদের মুখে আঙ্গুল রাখে। এমন হলে দাঁতগুলি উঁচু এবং নিচু হবে। আঙ্গুল এবং ফিডার ব্যবহার করলে মুখে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে।
অতএব, শিশুকে খাওয়ানোর পরপরই তার মুখ পরিষ্কার করা উচিৎ। আঙুল দিয়ে পরিষ্কার সুতি কাপড় দিয়ে মুখ মুছে নিন। শিশুদের ফিডারের চেয়ে চামচ দিয়ে খাওয়ানো ভাল। সেখানে এখন ভালো মানের ফিঙ্গার ব্রাশ পাওয়া যায়। এগুলি শিশুর মুখ এবং দাঁত পরিষ্কার করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
ব্রাশ করার সময় শিশুরা পেস্টটি ব্যবহার করতে পারবে। তবে এতে সময় কম লাগবে। শিশুদের জন্য আলাদা টুথপেস্টের বাজার আছে। প্রাপ্তবয়স্কদের টুথপেস্ট দিয়ে শিশুদের দাঁত কখনই ব্রাশ করা উচিৎ নয়।
শিশুর দাঁত পড়ে গিয়ে স্থায়ী দাঁতে পরিণত হয়। অনেক ক্ষেত্রে বাবা -মা বলেন, শিশুদের দুধের দাঁত নষ্ট হলে ফেলে দিতে হবে। এটা করা যাবে না। প্রতিটি দাঁতের উঠার পড়ার একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে। এর আগে যদি দুধের দাঁত তোলা হয়, তাহলে স্থায়ী দাঁতগুলো আঁকাবাঁকা হয়ে যাবে। পরিবর্তে, দাঁত ক্ষয়ের ক্ষেত্রে, একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ এবং একটি ফিলিং করা উচিৎ।
No comments:
Post a Comment