টেস্টোস্টেরন একটি যৌন হরমোন যা পুরুষদের মধ্যে পাওয়া যায়। এই হরমোনটি উর্বরতা, যৌন ক্রিয়া, হাড় এবং পেশী স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বয়স বাড়ার সাথে সাথে টেস্টোস্টেরনের মাত্রাও কমে যায়। কিছু চিকিৎসা বা খারাপ জীবনধারাও এই হরমোনকে প্রভাবিত করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে কিছু খাদ্য উপাদান টেস্টোস্টেরন উৎপাদনের মাত্রা বাড়াতে কাজ করে।
টুনা মাছ: টুনা মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় এবং এটি টেস্টোস্টেরন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয়। টুনা মাছ হার্টের জন্য খুবই ভালো। এতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন এবং খুব কম ক্যালরি।
এই মাছ প্রাকৃতিক উপায়ে টেস্টোস্টেরন বাড়াতে কাজ করে। এ ছাড়া সালমন, সার্ডিন এবং শেল মাছও টেস্টোস্টেরন বাড়াতে কাজ করে। আপনি এটি সপ্তাহে ২-৩ বার খেতে পারেন।
ভিটামিন ডি সহ কম চর্বিযুক্ত দুধ: দুধ প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের একটি বড় উৎস। হাড় মজবুত করার পাশাপাশি এটি পুরুষদের টেস্টোস্টেরন বাড়াতেও কাজ করে। কম চর্বিযুক্ত দুধ একটি ভাল বিকল্প। এতে পুরো দুধের সমান পুষ্টি রয়েছে।
ডিমের কুসুম: ডিমের কুসুমেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। যদিও, এটি কিছুটা কোলেস্টেরল বাড়াতেও কাজ করে, তবে সাদা অংশের তুলনায় ডিমের কুসুমে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়।
ডিমের কুসুম টেস্টোস্টেরন বাড়ায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার যদি আগে থেকেই কোলেস্টেরলের সমস্যা না থাকে, তাহলে প্রতিদিন একটি আস্ত ডিম খেতে পারেন।
ফরটিফাইড সিরিয়াল: কিছু শক্তিশালী সিরিয়াল ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। প্রাতঃরাশের ফোর্টিফাইড সিরিয়াল খেয়ে আপনার দিন শুরু করুন। এটি আপনার টেস্টোস্টেরনের মাত্রাও বাড়িয়ে দেবে।
মটরশুটি: পুরুষের হরমোন সংক্রান্ত কোনো সমস্যা নিয়ে যখনই কথা হয়, সমাধান হিসেবে প্রথমেই আসে মটরশুঁটির নাম। পুরুষদের জন্য শিম অনেক উপকারী। লেগুম, যেমন ছোলা, মসুর ডাল এবং বেকড বিন, সবগুলোই জিঙ্কের ভালো উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। টেস্টোস্টেরন বাড়ানোর পাশাপাশি ফাইবার এবং প্রোটিনও প্রচুর পরিমাণে শরীরে পৌঁছায়। এটি হৃদরোগ থেকেও রক্ষা করে।
আদা: খাদ্য বা ওষুধে আদা বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২০১২ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ৩ মাস ধরে আদা খাওয়ার ফলে টেস্টোস্টেরনমাত্রা ১৭.৭শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে । এছাড়াও, আদা শুক্রাণুর গুণমান উন্নত করে।
ডালিম : ডালিম উর্বরতা এবং যৌন ক্রিয়ায় খুব কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের জন্য খুবই ভালো। মানসিক চাপ কমাতেও ডালিম কাজ করে।
২০১২ এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ডালিম পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে ডালিমের রস টেস্টোস্টেরনের উপর বেশি কার্যকর। এটি ছাড়াও, এটি মেজাজ এবং রক্তচাপ উভয়ই উন্নত করে।
No comments:
Post a Comment