ক্যান্সারের চিকিৎসার নতুন উপায় খুঁজে পেলেন গবেষকরা - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 8 October 2021

ক্যান্সারের চিকিৎসার নতুন উপায় খুঁজে পেলেন গবেষকরা


প্রেসকার্ড নিউস ডেস্ক : ক্যান্সার এমন একটি মারণ রোগ, যা হলে, আমরা শোনার সাথে সাথেই মনোবল হারিয়ে ফেলি এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার আগে আমরা ভেবে নি যে আমরা আর বাঁচবো না। এবং ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাই। ক্যান্সার আমাদের জীবন কে ওলোটপালোট করে দেয়।


এমন সময় আমাদের মনোবল না হারিয়ে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার দৃঢ় মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আর তবে চিন্তার কারণ নেই কারণ এম আই টি এর গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন এই ক্যান্সারের জন্য নতুন কিছু।


ক্যান্সারের চিকিৎসায় একটি বড় প্রশ্ন হল কোন ওষুধটি রোগীর জন্য উপযুক্ত এবং কার্যকর হবে। এর সঠিক নির্বাচন কঠিন। কিন্তু ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এম আই টি) এবং ডানা ফারবার ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের গবেষকরা কোন বিশেষ ওষুধ কোন রোগীদের জন্য কার্যকর হবে তা নির্ধারণের একটি নতুন উপায় খুঁজে পেয়েছেন। এটি ডাক্তারদের জন্য উপযুক্ত থেরাপি চয়ন করা সহজ করে তুলবে। এই গবেষণার ফলাফল 'সেল রিপোর্টস' জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।


 গবেষক স্কট মানালিস বলেছেন যে, এই নতুন কৌশলে রোগীর শরীর থেকে টিউমার কোষ বের করে তার ওপর একটি ওষুধ ব্যবহার করা হয় এবং তার পর কোষের পরিবর্তন পরীক্ষা করা হয়। এই ব্যবহার অন্য অনেক ওষধের সাথে পর্যায়ক্রমে ব্যবহৃত হয়।


 সমস্ত ক্যান্সারের ওষুধ কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যবহৃত হয়। অতএব, মনে করা হয়েছিল যে 'কোষের ভর' পরিমাপ করে, বিভিন্ন ধরনের ওষুধের প্রক্রিয়া সম্পর্কে একটি বিস্তৃত তথ্য পাওয়া যেতে পারে। এই গবেষণাটি মস্তিষ্কের ক্যান্সার গ্লিওব্লাস্টোমা নিয়ে করা হয়েছিল। এই ক্যান্সার খুব দ্রুত ছড়ায়।


 একটি অনুমান অনুসারে, আমেরিকায় প্রতি বছর প্রায় ১৩ হাজার মানুষ এই রোগে ভোগে, কিন্তু আমাদের দেশে এই ধরনের রোগীর সংখ্যা প্রতি লাখ জনসংখ্যার এক থেকে চার পর্যন্ত। এটি একটি দুরারোগ্য রোগ, কিন্তু কিছু ওষুধ কিছু সময়ের জন্য রোগীদের জীবনকে দীর্ঘায়িত করে ঠিকই, অধিকাংশ রোগী এক বা দুই বছরের বেশি বাঁচে না।


  চিকিৎসায় সমস্যা:-


 গবেষকরা বলছেন যে এই রোগ জানার পরও যদি প্রথম ছয় মাসও অকার্যকর ওষুধ খাওয়া হলে জটিলতা আরও বেড়ে যায়। তবে এই নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে রোগীর চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে।


 গ্লিওব্লাস্টোমা রোগীদের সাধারণত টেমোজোলোমাইম (টি এম জেইট) নামক ওষুধ দিয়ে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। কিন্তু এই কেমোথেরাপি শুধুমাত্র ৫০ শতাংশ রোগীর জন্য সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়। তবে রোগী  দ্বা এম জেইট রা আক্রান্ত হবে কি না তা নির্ধারণ করতে জিনের মেথিলাইশন ( এম জি এম টি) নামে একটি জেনেটিক মার্কার ব্যবহার করে। কিন্তু এই মার্কারটি খুব নির্ভরযোগ্য নয়, কারণ অন্যান্য জেনেটিক কারণগুলি এই পরীক্ষাটিকে কম নির্ভুল করে তোলে।দ্বা এম জেইট ইরা প্রভাবিত নয় এমন রোগীদের জন্য, ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সীমিত পছন্দ রয়েছে।


 নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে পরীক্ষার সুবিধা:-


 গবেষকরা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে একটি নতুন পদ্ধতির সাথে গবেষণার মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, জিনের ভিত্তিতে চিকিৎসার প্রভাব বিচার করা উচিৎ নয়, এটি টিউমার কোষের প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা উচিৎ। 


এই পদ্ধতিটি ওষুধের কার্যকরী নির্ভুলতা হিসাবে পরিচিত। এতে, ওষুধের প্রভাব জানতে, রোগীর টিউমার কোষে এটি ব্যবহার করে, অনুমান করা যায় যে চিকিৎসার প্রভাব কেমন হবে।


 বিজ্ঞানীরা ওষুধের কার্যকরী নির্ভুলতা জানতে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করছেন। এই গবেষণার গবেষকরা টিউমার কোষের ভরের পরিবর্তনের ভিত্তিতে ওষুধের প্রভাব মূল্যায়ন করেছেন। পদ্ধতিটি মানালিস ল্যাব দ্বারা উদ্ভাবিত একটি কৌশলের উপর ভিত্তি করে, যেখানে কোষগুলি একটি কম্পনকারী মাইক্রোচ্যানেলের মধ্য দিয়ে যায় এবং তাদের ওজন চরম নির্ভুলতার সাথে পরিমাপ করা হয়। তাঁরা দেখেছেন যে ওষুধ ব্যবহারের আগে এবং পরে রোগীদের কাছ থেকে নেওয়া নমুনার মাত্র ২ হাজার কোষের ওজনের পার্থক্য সঠিক তথ্য দেয়। এর উপর ভিত্তি করে, এটি সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে যে টি এম জেইট ওষুধের প্রভাব থাকবে কি না।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad