আমাদের দেশে যখনই কোনো খুশির উপলক্ষ্য আসে, মানুষ একে অপরের মুখ মিষ্টি করে। আমাদের দেশে বহু বছর ধরে এই রীতি চলে আসছে। উৎসব হোক বা কেউ চাকরি পেয়েছে বা আত্মীয়ের বাড়িতে যেতে চাইছে, এমন অনুষ্ঠানে মানুষ মিষ্টি খাওয়ায়।
যেখানে অনেকেই মিষ্টি খেতে খুব পছন্দ করেন, সেখানে কিছু লোক আছেন যারা মোটা হওয়ার ভয় পান এবং তারা মিষ্টি এড়িয়ে চলেন। বেশির ভাগ মিষ্টিতেই চিনি ব্যবহার করা হয়। চিনিকে মিষ্টি বিষও বলা হয় কারণ অতিরিক্ত চিনি খেলে ডায়াবেটিস হতে পারে। আমরা এই নিবন্ধে আপনাকে বলব যে চিনির পরিবর্তে দেশি খন্ড ব্যবহার করা উচিৎ। এই প্রবন্ধে আপনি জানবেন দেশি খণ্ডের কী কী উপকারিতা রয়েছে।
আখের রস থেকেও দেশি খণ্ড তৈরি করা হয়, যা থেকে চিনি তৈরি করা হয়। চিনি অত্যন্ত পরিশোধিত, যা এতে উপস্থিত ফাইবার এবং পুষ্টি কেড়ে নেয়, অন্যদিকে খন্ড হল আখের রসের একটি কম পরিশোধিত রূপ।
চিনি খাওয়ার অসুবিধা: আমাদের দেশে প্রচুর মানুষ চিনি খায়। কেউ যদি ক্ষীর তৈরি করতে চান, পুডিং তৈরি করতে চান, লেবুর জল তৈরি করতে চান, ফ্রুটশেক বা দুধ পান করতে চান, চিনি এই সব কাজেই ব্যবহার করা হয়।
চিনি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হলে তা মেজাজ পরিবর্তন, খিটখিটে ভাব, দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতা, ডায়াবেটিস, মানসিক রোগ ইত্যাদির ঝুঁকি বাড়ায, তাই খুব অল্প পরিমাণে চিনি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
উপকারিতা:
যদি কেউ দেশি খন্ড খায় তাহলে তার শরীরে শীতলতা আসবে। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান দেশি খণ্ডে পাওয়া যায় যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
খন্ডে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায় যা আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ঠিক রাখতে সহায়ক। চিনির জায়গায় খন্ড ব্যবহার করা আমাদের শরীরের জন্য বেশি উপকারী। আপনি সহজেই আপনার বাড়িতে লস্যি, ক্ষীর, হালুয়াতে খন্ড ব্যবহার করতে পারেন।
খন্ড খাওয়া আমাদের হাড়ের জন্যও খুব উপকারী। খন্ডে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়, যা আমাদের হাড়কে মজবুত করে, তাই আপনার খাদ্যতালিকায় খন্ড অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন।
খন্ডে পাওয়া ফাইবার আমাদের শরীরে স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া বজায় রাখতে খুবই সহায়ক।
No comments:
Post a Comment