ঋতু পরিবর্তনের ফলে সর্দি এবং জ্বর একটি সাধারণ রোগ। বর্ষার পর এখন সারাদেশের মানুষ ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। ভাইরাল সাধারণত ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তাই সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।এই সংক্রমণগুলি আমাদের নাক, ফ্যারিঞ্জাইটিস, শ্বাসনালী এবং সাইনোসাইটিস, সাইনাসকে প্রভাবিত করে।
ঠাণ্ডা লাগার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে ভাইরাল ফিভারেরও শিকার হন। এটি মোকাবেলা করার জন্য বাজারে অনেক ওষুধ পাওয়া যায়। তবে এর সাথে আপনি কিছু ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্যও নিতে পারেন।
রসুন: রসুন একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক, যা ঠাণ্ডা এবং ঠান্ডা ভাইরাসকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেরে ফেলতে কাজ করে। এছাড়া এটি রক্ত পরিশোধনেও বেশ উপকারী। আপনি এটি খাবারে রেখে ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া কাঁচাও খেতে পারেন। সর্ষের তেলে ভেজে বুকে ও গলায় লাগাতে পারেন । এতে সর্দি কাশিতে খুব তাড়াতাড়ি আরাম পাবেন ।
ইউক্যালিপটাস তেল: ইউক্যালিপটাস তেল এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অনেকেই জানেন না যে এটি ঠান্ডা এবং ফ্লু নিরাময়েও ব্যবহৃত হয়। এটা ব্যবহার করা খুব সহজ। ঠাণ্ডা লাগলে বা ফ্লু হলে এক বা দুই ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল দিয়ে জল ফুটিয়ে নিন। ফুটানো জল দিয়ে ভাপ নিন। এতে শুধু ঠাণ্ডা ও ফ্লু সেরে যাবে না, নাকও খুলে যাবে।
মধু, লেবু, দারুচিনি এবং আদা চা: এই সব উপকরণগুলিই সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করতে উপকারী বলে প্রমাণিত। এতে রয়েছে উপকারী উপাদান যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ভিটামিন-কে এবং ডায়েটারি ফাইবার ইত্যাদি।
যা ঠান্ডা ও সর্দির ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে কাজ করে। এর জন্য এক চামচ মধু, আধা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো ও লেবুর টুকরো এবং এক টুকরো আদা নিন। জলে ফুটিয়ে হালকা গরম অবস্থায় দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন।
তুলসী: তুলসী খুবই উপকারী একটি ওষুধ। এতে রয়েছে ট্র্যানিন, স্যাভোনিন, গ্লাইকোসাইড এবং অ্যালকালয়েড, যা অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। ঠাণ্ডা-সর্দির সময় তুলসীর ক্বাথ খুবই উপকারী।
তুলসীর ক্বাথ তৈরি করতে আধা গ্লাস জল, দুই থেকে তিনটি লবঙ্গ এবং আদা ফুটিয়ে নিন। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী মধু বা চিনি যোগ করতে পারেন। এই ক্বাথ দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন, এতে অনেক আরাম পাবেন।
সাইট্রাস ফল: সাইট্রাস ফলে ভিটামিন-সি প্রচুর পরিমাণে থাকে। এই ভিটামিন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সর্দি হলে কমলা, লেবু, আনারস, চেরি ইত্যাদি ফল খেতে পারেন। এছাড়াও ব্রকলিতে ভিটামিন-সি পাওয়া যায়। তবে সব সময় মনে রাখবেন যে এগুলি অতিরিক্ত গ্রহণ করা ক্ষতিকারক হতে পারে।
No comments:
Post a Comment