লিভার শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি শরীরের প্রধান কাজ সম্পাদন করে। আজকাল যেখানে শরীরকে ডিটক্স করার কথা বলা হয়, লিভার সেই কাজ করে। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয়। আমরা যা খাই তা হজম করতে সাহায্য করে।
লিভার প্রধানত প্রোটিন উৎপাদন করে। অপরিহার্য পুষ্টিকে চর্বিতে রূপান্তরিত করে। লিভারকে দীর্ঘদিন সুস্থ রাখার জন্য খাদ্যাভ্যাসের উন্নতি করা প্রয়োজন। কারণ লিভার নষ্ট হওয়ার পর অন্যান্য রোগও হতে পারে। অতএব, যদি দীর্ঘদিন লিভারকে সুস্থ রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই খাদ্যতালিকায় এই ৫ টি ফল অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
১.আপেল : ইংরেজিতে একটি কথা আছে যে প্রতিদিন একটি আপেল ডাক্তারকে দূরে রাখে, অর্থাৎ দিনে একটি আপেল খেলে ডাক্তারকে দূরে রাখা যায়। আপেল লিভারকে ডিটক্সিফাই করে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করে। এতে উপস্থিত পেকটিন উপাদান কোলেস্টেরল, পরিপাকতন্ত্রকে ঠিক করে।
২. লেবু: লেবুতে রয়েছে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি। কোভিড সময়কালে, ডাক্তার ভিটামিন সি খাওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন। কারণ এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।এবং লিভারকে পরিষ্কার রাখে। লেবুতে উপস্থিত উপাদানগুলি লিভারের কোষগুলিকে সক্রিয় করে। লেবুর শরবত খাওয়া খুবই উপকারী।
৩. বেরি: এতে উপস্থিত পলিফেনল লিভারকে সুস্থ রাখে। এই ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। বেরিতে যথাযথ পরিমাণে পুষ্টি থাকে।
৪. আঙ্গুর: সবাই আঙ্গুর পছন্দ করে। শিশুরাও খুব উৎসাহের সাথে এটি খায়। এছাড়াও অনেক ধরনের আঙ্গুর আছে। লাল, সবুজ, কালো যার মধ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। অন্যদিকে, কালো এবং লাল আঙ্গুর সেবন লিভারকে সুস্থ রাখে। লিভারে প্রদাহ, সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। তাই আঙ্গুর খাওয়া উচিত।
৫. কলা : কলা অনেক রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। পেট সংক্রান্ত, বদহজমের সমস্যা, দুর্বলতার ক্ষেত্রে কলা খাওয়া যেতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, যখন লিভারে ফুলে যায়, তখন খাবার সহজে হজম হয় না। তখন কেবল হজমযোগ্য খাবার খাওয়া উচিত। ডাক্তারের পরামর্শে কলা খাওয়া যেতে পারে। তবে লিভার শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যদি কোনো মারাত্মক সমস্যা হয়, তাহলে শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শে ফল ও সবজি খাওয়া উচিৎ।
No comments:
Post a Comment