পূর্ব মেদিনীপুর
হাতে মাত্র দু-দিন বাকি তার আগে লক্ষীর পট তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা।
এবছর কিরকম বিক্রি হবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে মৃৎ শিল্পীদের মধ্যে। গতবছর করনা আবহে তেমন বিক্রি হয়নি লক্ষ্মীর পট । এবছর কিছুটা আবহ কাটলেও মনের মধ্যে সংশয় রয়েই গেছে।
না্ওয়া-খাওয়া শেষ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পাল পাড়ায় এখন শুধু লক্ষীর পট আঁকতে ব্যাস্ত আট থেকে আশি। দুদিন পরেই কোজাগরী লক্ষী পুজো তার আগে পালপাড়ায় এখন ব্যাস্ততা তুঙ্গে।
সরা মানে মাটির তৈরী গোলাকার এক ধরনের ঢাকনা বা পাত্র। তার উপরের অংশে ঘসে মসৃণ করে খড়ি মাটির প্রলেপ দিয়ে নানা উজ্জ্বল রঙের ব্যবহারে ফুটিয়ে তোলা হয় দেবদেবীর চিত্র।
প্রাচীনকাল থেকেই সরার ব্যবহার দেখা যায়। লক্ষীর সরা হয় নানা রকম। মাঝে লক্ষী পাশে জয়া বিজয়া উপরে লক্ষী নারায়ণ নীচে থাকে পেঁচা ও ময়ুর। সরা বা পটের প্রধান সুজ্জিত লক্ষীদেবী ও তার বাহন পেঁচা। তমলুক শহরের শঙ্করআড়া এলাকার পাল পাড়ার পট শিল্পী বীণা পাল বলেন, গত বছর করোনা পরিস্থিতি থাকায় অল্প সংখ্যক সরা বানিয়েছিলাম এবার একটু বেশি বানিয়েছি । হাতে আর দুদিন আছে দেখা যাক বাজার কেমন হয়।
অন্যদিকে ওই পাড়ার আর এক মৃৎশিল্পী অজয় সরকার তিনি কাঠামোর উপর ছোট লক্ষী প্রতিমা গড়ছেন । তারও মুখে একই কথা গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে কম প্রতিমা বানিয়েছিলাম । এবার করোনা আবহ থাকায় প্রায় ২০ খানা মুর্ত্তি বানিয়েছি। বাজার কেমন হয় সেদিকে তাকিয়ে আছি।
No comments:
Post a Comment