সন্তান কি প্রায়ই মাথাব্যথার সমস্যায় ভোগে? এখানে রইল সমাধান - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 21 October 2021

সন্তান কি প্রায়ই মাথাব্যথার সমস্যায় ভোগে? এখানে রইল সমাধান



টিভি এবং মোবাইল ফোনে কাটানো ঘন্টার পর ঘন্টার কারণে, মানসিক চাপ এবং মাথাব্যথার সমস্যা শিশুদের মধ্যে সাধারণ হয়ে উঠেছে।  আজকের যুগে, পড়াশোনার ব্যাপারে ছোটদের উপর এত বেশি বোঝা থাকে যে অল্প বয়সে তাদের চোখে মোটা চশমা উঠে যায়।  দুর্বল খাদ্য এবং নগণ্য শারীরিক ক্রিয়াকলাপের কারণে স্থূলতা বৃদ্ধি পায়।  স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে যদি মাথাব্যথার সমস্যা মাঝে মাঝে হয় তবে তা মানসিক চাপের কারণেও হতে পারে, কিন্তু শিশুরা প্রায়ই মাথাব্যথার অভিযোগ করে, তাহলে আপনাকে এটিকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে।


এই কারণ হতে পারে
শিশুদের মাথাব্যথার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে।  এর মধ্যে রয়েছে মাথায় আঘাত, সর্দি, কাশি, ঠান্ডা লাগা, উল্টো পাল্টা খাবার এবং ভুল জীবনধারা।

মাথাব্যথার সমস্যা হলে এই লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে

অত্যাধিক ঘামা
মেজাজ খিটখিটে
ঘুম থেকে ওঠার পরপরই মাথাব্যথা
মাথা ঘোরা, বমি, বমি বমি ভাব
ঝাপসা দৃষ্টি
হাঁচি বা কাশির সময় মাথাব্যথা


এই সমস্যা এড়াতে কি করতে হবে

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুরা তাদের বক্তব্য সঠিকভাবে বলতে পারছে না, তাই তাদের সমস্যাটি খুব সাবধানে বোঝা প্রয়োজন।  যদি শিশু প্রায়ই মাথাব্যথার অভিযোগ করে, তাহলে প্রথমে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।  প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলি সম্পন্ন করুন।  রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিন এবং বিশেষজ্ঞের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।


চোখ পরীক্ষা প্রয়োজন
যদি আপনার শিশু তার চোখ দিয়ে ঠিকমতো না দেখার অভিযোগ করে, তাকে বকাঝকা করবেন না।  তার চোখ পরীক্ষা করান।  কারণ আজকাল মোবাইল, ল্যাপটপ এবং টিভিতে কাটানো ঘন্টার কারণে, শিশুদের দৃষ্টিশক্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।  অনেক সময় দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হলেও মাথাব্যথার সমস্যা থাকে।  এর বাইরে, যদি শিশুর ইতিমধ্যেই চশমা থাকে, তাহলে কম বা বেশি চশমার কারণে মাথাব্যথা হতে পারে।


লাইফস্টাইল পরিবর্তন অপরিহার্য
শিশুদের সাধারণ মাথাব্যথার সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য তাদের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা পরিবর্তন করা খুবই জরুরি।  এই জন্য, তাদের সবুজ শাকসবজি, ফল, দুধ, পনির ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস করুন।  বাইরের খাবার, চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।  শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য তাদের অনুপ্রাণিত করুন।  এ ছাড়াও শিশুর ঘুমের দিকে খেয়াল রাখুন।  তাদের পড়াশোনায় উৎসাহিত করুন, তাদের চাপ দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad