আগে যখন ফ্রিজ ছিল না তখন মানুষ গ্রীষ্মকালে জল ঠান্ডা করার জন্য মাটির পাত্র ব্যবহার করত। আজকাল ফ্রিজের ঠাণ্ডা জল ব্যবহার করা হলেও অতিরিক্ত ঠান্ডা হওয়ার কারণে তা গলা ও শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সম্পূর্ণ ঠান্ডা করে এবং শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এতে গলার কোষের তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যায় এবং রোগের সৃষ্টি করে।
আজও অনেকে ফ্রিজের পরিবর্তে হাঁড়ির জল পান করেন। পাত্রের জল শুধু গরমে আনন্দ দেয় না এর পাশাপাশি এর রয়েছে অনেক উপকারিতা যা আমরা আজ আপনাদের বলতে যাচ্ছি।
মাটির পাত্রের জলে মাটির বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা জলের অমেধ্য অপসারণ করে এবং উপকারী খনিজ সরবরাহ করে শরীর থেকে টক্সিন বের করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মাটির পাত্রের জল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এটি খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও কমায়।এছাড়া এটি ফ্রিজের জলের চেয়ে বেশি উপকারি কারণ এটি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গলা ব্যথার মতো সমস্যা হয় না।
এছাড়াও এটি সত্যিই শরীরকে শীতল করে। মাটির প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি শরীরে ব্যথা ক্র্যাম্প বা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে দেয় না। শুধু তাই নয় এটি আর্থ্রাইটিস রোগেও অত্যন্ত উপকারী বলে বিবেচিত হয়।
এছাড়া মাটির পাত্রে রাখা জল একেবারে বিশুদ্ধ হয়। এটি ডায়রিয়া, জন্ডিস এবং আমাশয়ের মতো রোগের জন্ম দেয় এমন সমস্ত ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে।মাটির পাত্রে রাখা জল পান করলে ত্বক সংক্রান্ত অনেক সমস্যা দূর হয়। এটি ফোঁড়া, ব্রণ এবং অন্যান্য ত্বক সম্পর্কিত রোগ হতে দেয় না। এতে রাখা জল পান করলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হয়।
এছাড়াও পেট সংক্রান্ত রোগেও মাটির পাত্রের জল উপকারী। এর নিয়মিত ব্যবহারে পেট ব্যথা, গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
তাছাড়া মাটির পাত্রে রাখা জল পান করা রক্তস্বল্পতা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য একটি আশীর্বাদ হতে পারে। মাটিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। আমরা আপনাদেরকে বলে রাখি যে রক্তাল্পতা একটি আয়রনের অভাবজনিত রোগ।
No comments:
Post a Comment