সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ল এক পরিচারিকার কুকীর্তি - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 2 October 2021

সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ল এক পরিচারিকার কুকীর্তি



প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : অনেকেই পিঠে হাত বুলিয়ে শিশুদের ঘুম পাড়িয়ে দেয়।  কিন্তু যদি এই পিঠের হাত বোলানোর মাত্রা বেড়ে যায়, তাহলে ওটা ঘুম পাড়ানো হয় না।সেটি  শারীরিক নির্যাতন ।  সম্প্রতি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া এলাকায় এই ধরনের সমস্ত শারীরিক নির্যাতন সামনে এসেছে।  সেখানে, এক পরিচারিকার বিরুদ্ধে অভিভাবকের অনুপস্থিতিতে ১০ মাসের একটি মেয়েকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।  এই সব দৃশ্য বাড়ির সিসিটিভিতে ধরা পড়ার পর পাঁশকুড়া থানার পুলিশ অভিযুক্ত পরিচারিকাকে গ্রেফতার করে।



  পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক নবমিতা ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্বামী দেবাশীষ দাস বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার।  তারা পাঁশকুড়া মেচগ্রামে একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে থাকেন।  কল্পনা সেন (৫০) নামে এক স্থানীয় মহিলা ২০১৮ সাল থেকে নবমিতার ফ্ল্যাটে পরিচারিকা হিসেবে কাজ করছেন।  ২০২০ সালের নভেম্বরে নবমিতা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। 



 মে মাসে মেদিনীপুরে তার বাবার বাড়িতে মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে তিনি মেয়ের সঙ্গে ফ্ল্যাটে ফিরে এসেছিলেন।  নবমিতার স্বামী দেবাশীষ প্রতি শনিবার ফ্ল্যাটে আসেন।  কয়েক মাস আগে, দম্পতি পরিচারিকা কল্পনার আচরণ নিয়ে সন্দেহ করেছিলেন।  তারা ফ্ল্যাটে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছে।  এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নবমিতার স্বামী দেবাশীষ মেয়েকে দেখতে তার মোবাইলে বাঁকুড়া থেকে অনলাইন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে। 



সিসিটিভি ফুটেজে দেবাশীষ যা দেখলেন তা মেনে নেওয়া যায় না। দেবাশীষ দেখলেন কল্পনা তার একমাত্র সন্তানকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করছে।  ভিডিওতে দেখা গেছে, কল্পনা মাঝে মাঝে শিশুর পা ধরে বিছানায় ফেলে দেয়।  মাঝে মাঝে আবার জোরে জোরে সন্তানের শরীরে আঘাত করে।



  দেবাশীষ বাবু তার স্ত্রীকে সব কথা বললেন।  কিন্তু নবমিতা তখন কাজের সূত্রে কাঁথিতে।  পরে দেবাশীষ ফিরে আসেন।  শুক্রবার তিনি পাঁশকুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।  পাঁশকুড়া থানার পুলিশ অভিযুক্ত পরিচারিকা কল্পনাকে গ্রেফতার করেছে।  তিনি পুলিশের সামনে ঘটনার সত্যতা মেনে নিয়েছেন।  শনিবার তাকে তমলুক জেলা আদালতে তোলা হয়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad