বাংলাদেশি নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্ৰেফতার ২ - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 16 October 2021

বাংলাদেশি নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্ৰেফতার ২



উত্তর ২৪ পরগনা: সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে এদেশে প্রবেশ করেছিল এক নাবালিকা। কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলায় প্রবেশের পরই ধর্ষণের শিকার হয় ওই বাংলাদেশি নাবালিকা। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় ও পুলিশের হস্তক্ষেপে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের।


শনিবার দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বাগদা থানার পুলিশ। এদিনই তাদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। অন্যদিকে প্রশাসনের তরফে নাবালিকাকে হোমে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।  


পুলিশ জানিয়েছে, কাজের সন্ধানে বাংলাদেশের সারিয়তপুর পুটিয়াকান্দি গ্রামের ১৭ বছরের এক নাবালিকা বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসে। অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সে ওঠে বাগদার হরিহরপুর নামক এলাকায়।


জানা গেছে হরিহরপুরের বাসিন্দা শরিফুল মল্লিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার সাথেই চোরাপথে দেশে আসে ওই বাংলাদেশি নাবারিকা। এরপর শরিফুলের বাড়িতেই থাকতে শুরু করে ওই নাবালিকা। শরিফুল তাকে আশ্বাসও দেয় কয়েকদিনের মধ্যেই তাকে কোন ভাল কাজ পাইয়ে দেওয়ার। কিন্তু এরই মধ্যে বাড়ি থেকে ওই নাবালিকাকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে শরিফুল ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তবে কেবল শরিফুলই নয়, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তারই সহযোগী ২৮ বছর বয়সী মহসিন বিশ্বাসের বিরুদ্ধেও।


গত ১৪ অক্টোবর ওই নাবালিকার মুখ থেকেই ওই গ্রামের বাসিন্দারা বিষয়টি জানতে পারেন। এরপরই খবর দেওয়া হয় বাগদা থানাতেও। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই নাবালিকা। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ শরিফুল ও মহসিন নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। আটককৃত ব্যক্তিদের ভারতীয় দন্ডবিধির ‘প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস’ (পকসো) আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।


শনিবার তাদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠানো হলে আদালত চার দিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেয়। অন্যদিকে নাবালিকাকে হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা হচ্ছে।


পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিই দীর্ঘদিন দিন ধরেই এই কাজে লিপ্ত। দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে কাজের লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে এদেশে পাচার করে দিত নারীদের। আটককৃত দুই যুবকের প্রকৃত পরিচয় এবং ওই পাচারচক্রের সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad