স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে সাধারন মানুষের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল গুলির বিরুদ্ধে প্রবল অনীহার অভিযোগ আগেই উঠেছিল। এই ঘটনার খবর জানতে পেরে চলতি সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডকে বাধ্যতামূলক করেছেন।
শুক্রবারও বেসরকারি একটি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করাবার অনীহা দেখিয়ে দিল। অন্তত এমনটাই অভিযোগ উঠেছে চন্দননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। চন্দননগরের নিউ ইউনাইটেড নার্সিং হোম নামে একটি বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যস্বাথী কার্ড নিতে অস্বীকার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবী, রুগীর পরিবারই রুগীকে ভর্তি করার সময় স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসা করাবে না বলে লিখিত দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, সিঙ্গুর থানার নান্দা এলাকার বাসিন্দা পরেশ চন্দ্র আরোস (৬৭) ২৫ অক্টোবর শারিরীক অসুস্থতার কারনে চন্দননগর ইউনাইটেড নার্সিং হোমে ভর্তি হন।
ভর্তির সময়ই পরেশবাবুর ছেলে হাসপাতালে নগদ ১০হাজার টাকা দিয়েছিলেন। শুক্রবার দুপুরে ছুটি হয় পরেশবাবুর। মোট বিল হয় ২২হাজার টাকা। অভিযোগ, ছুটির সময়ে হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড দেখালেও তা নিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবী পরেশ বাবুর ভর্তির সময়ই তাঁর পরিবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসা করাবে না বলে লিখিত দিয়েছিল। আর এখন ছুটির সময় সেই স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড দিচ্ছেন। যেটা এখন গ্রহন করা সম্ভব না। লিখিত দেওয়ার কথা রুগীর পরিবার স্বীকার করলেও পরেশবাবুর ছেলের দাবী, ভর্তির সময় রুগীর পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক ছিল।
আমরা রুগীকে নিয়েই চিন্তিত ছিলাম। তাই সে সময় যে সমস্ত জায়গায় সই করতে বলেছে সেখানেই সাক্ষর করে দিয়েছি। এখন দেখছি সেই কাগজে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নেওয়ার সেই বয়ান লিখে রেখেছিল। স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড না নিলেও এদিন সাংবাদিকরা ঘড়নাস্থলে উপস্থিত হওয়ার পর বাকি ১২হাজার টাকার পরিবর্তে ৮হাজার টাকা নিয়ে রুগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment