সবচেয়ে উঁচু প্রাকৃতিক শিবলিঙ্গ! - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 9 October 2021

সবচেয়ে উঁচু প্রাকৃতিক শিবলিঙ্গ!

 






প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: অরুনাচল প্রদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সভ্যতা-সংস্কৃতি এবং বৈচিত্র্যের এক অনন্য নমুনা।  এই গুণাবলীর কারণে এই শহরটি ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।  অবশ্যই, এখানে এসে আপনি সিমলা বা উটি পাবেন না, কিন্তু ভিড় থেকে দূরে, বিস্তীর্ণ ধানের ক্ষেত মাইল বিস্তৃত, লম্বা পাইন গাছ, বরফের সাদা চাদরে ঢাকা পাহাড়ের চকচকে চূড়া, ঘন বন, ফিসফিস করে পাতার আওয়াজ করা, সরু জায়গা থেকে জলের ঝর্ণাধারা, বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের স্তোত্রের পবিত্র ধ্বনি এবং স্থানীয় সরল মনের মানুষের আতিথেয়তা ... যা প্রতিটি ভবঘুরে কামনা করে।  এই সব ছাড়াও, অন্য কিছু আছে যা এই জায়গাটিকে বিশেষ করে তোলে, সেটা হল বিশাল শিবলিঙ্গ, ২৬ ফুট উঁচু।  




 সবচেয়ে উঁচু প্রাকৃতিক শিবলিঙ্গ



 

 এই শিবলিঙ্গটি আবিস্কার করেছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রি।  ২৬ ফুট উঁচু এবং ২২ ফুট চওড়া এই শিবলিঙ্গটি প্রায় চার ফুট মাটির নিচে। এখানেই

 পার্বতী এবং কার্তিকেয় মন্দির রয়েছে যা এই শিবলিঙ্গের চেয়ে ছোট। শিবলিঙ্গের বামদিকে ভগবান গণেশের মূর্তি এবং সামনের পাথরে নন্দী।  বিশেষ জিনিসটি  হল যে শিবলিঙ্গের নিচের অংশের জলের প্রবাহ স্থির থাকে।  শিবলিঙ্গের উপরের অংশে স্ফটিকের মালাও স্পষ্ট দেখা যায় সেই জলে।  এগুলি সবই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক। বলা হয় যে এই শিবলিঙ্গ এবং শিব পরিবারের উৎপত্তি ঠিক যেমনটি শিব পুরাণে উল্লেখ আছে।  শিব পুরাণের নবম খণ্ডের ১৭ তম অধ্যায়েও এর উল্লেখ রয়েছে।  এই অনুযায়ী সর্বোচ্চ শিবলিঙ্গ 'লিঙ্গালয়' পরে যেখানে পাওয়া যাবে সেই স্থানটি অরুণাচল নামে পরিচিত হবে।  


 সিদ্ধেশ্বরনাথ মন্দির


 স্থানীয় মন্দির প্রশাসন এই স্থানের নাম দিয়েছে 'সিদ্ধেশ্বরনাথ মন্দির'। এখানকার জিরো উপত্যকার কারদা পাহাড়ে সিদ্ধেশ্বর নাথ মহাদেব বসে আছেন।  এখন হাজার হাজার ভক্ত এই স্থানে পৌঁছান।  মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে শুধু স্থানীয় মানুষ নয়, সারা বিশ্ব থেকে ভক্তরা সেখানে পৌঁছে শিব পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।  জিরোর প্রধান বাজার হাপোলি থেকে সিদ্ধেশ্বর মহাদেবের দূরত্ব ৬ কিলোমিটার যা পায়ে হেঁটে যাওয়া যায় বা হাপোলির ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে ট্যাক্সি ভাড়া করা যায়।


 কিভাবে পৌছবেন


 অরুণাচল প্রদেশের রাজধানী ইটানগর বা নাহারলাগুন রেল স্টেশন থেকে জিরোর দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার।  আসামের লখিমপুর শহর থেকে জিরোর দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার।  লখিমপুর থেকে জিরো পর্যন্ত শেয়ারিং সুমো পরিষেবাও পাওয়া যায়।  আপনি ট্রেন বা ফ্লাইটেও গুয়াহাটি পৌঁছাতে পারেন।  আপনার অগ্রযাত্রার জন্য ব্যক্তিগত বাস এবং ট্যাক্সি উপলব্ধ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad