প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে হওয়া যুদ্ধ এখন যেন রাস্তায় নেমে এসেছে। সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, বুধবার রাজ্যের অনেক জায়গা থেকে শাসক দল বিজেপি এবং প্রধান বিরোধী দল সিপিএমের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। গোমতি জেলার উদয়পুর শহর থেকে হাঙ্গামার খবর প্রথম যেখানে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন একটি মিছিল বের করে। এই মিছিল চলাকালীন সিপিএম এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই সময়, একজন বিজেপি কর্মী গুরুতর আহত হন, যাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ডিওয়াইএফআই-এর মিছিল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই থেকে তিনজন আহত হয়েছেন। তবে তারা কোন দলের সদস্য, সে বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই।
বার্তা সংস্থা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, উদয়পুরের পর আগরতলা, বিশালগড় ও কাঠালিয়ায় সিপিএমের পার্টি অফিসগুলিতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। সোমবার রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে ধনপুরে যাওয়া আটকানোর চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে এবং দাঙ্গা থামাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আধিকারিকরা জানান, দুর্বৃত্তরা উদয়পুরে সিপিএমের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। অন্যদিকে প্রাক্তন মন্ত্রী রতন ভৌমিকের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি ট্যুইটারে ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
একই সঙ্গে পরিস্থিতির অবনতি দেখে কৃষিমন্ত্রী প্রাণজিৎ সিংহ রায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি দাবী করেন, 'পুলিশের অনুমতি না নিয়ে সিপিএম এই মিছিল করেছে। যখন পুলিশ সিপিএমের সমাবেশ বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল, তখন তারা সহিংসতার আশ্রয় নেয়, যাতে অনেক লোক আহত হয়। পাশ দিয়ে যাওয়া বিজেপি কর্মী মফিজ মিঞার ওপরেও আক্রমণ করা হয়, যাতে তিনি গুরুতর আহত হন। এছাড়া তারা একটি হোটেল ও কিছু বাড়ি ভাঙচুর করে।' তিনি এও বলেন, 'এই সহিংসতায় যেই জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
No comments:
Post a Comment