সৌমিতা চক্রবর্তী, প্রেসকার্ড নিউজ: মিত্র ইন্সটিটিউশনে ভোট দিয়ে কালীঘাটের বাড়িতে ফিরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ মাস আগে হুইল চেয়ারে করে এসেছিলেন নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে। আর বৃহস্পতিবার পায়ে হেঁটেই এলেন ভোট দিতে।
এদিন ৩.১০ নাগাদ বাড়ি থেকে রওনা হন তৃণমূল সুপ্রিমো। এরপর মিত্র ইন্সটিটিউশনে এসে ভোট দিয়েই বেরিয়ে যান তিনি। সব মিলিয়ে মাত্র ৪ মিনিট ভোট কেন্দ্রে ছিলেন মমতা। তাঁকে ঘিরে উত্তেজনা যে ছিল চরমে, সেকথা বলার নয়। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার বলয়ে থেকেই ভোট দেন তিনি। এরপর কালিঘাটের বাড়িতে ফিরে যান।
উল্লেখ্য, আজ ভবানীপুরে উপনির্বাচন। এটা কেবল নির্বাচন নয়, মমতার চেয়ার বাঁচানোর লড়াইও বটে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জন সমর্থন নিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরলেও নন্দীগ্রামে বিজেপির শুভেন্দুর কাছে পরাজিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়মানুযায়ী, ৬ মাসের মধ্যে তাকে কোনও এক কেন্দ্রে জিতে বিধানসভার সদস্য পদ পেতে হবে। নাহলে তার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার সঙ্কটে পরে যেতে পারে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই ভবানীপুরে জয়ী হন তৃণমূলের শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি এখান থেকে ইস্তফা দিলে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন আবশ্যক হয়ে পড়ে। সেই মতই ৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনের ঘোষণা দেয় কমিশন। এছাড়াও জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জেও আজ ভোট গ্ৰহণ। ফল ঘোষণা করা হবে ৩ অক্টোবর।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারের সময় পায়ে চোট পান তৃণমূল সুপ্রিমো। যদিও একে বিজেপির চক্রান্ত বলেই দাবী করেন মমতা ও তাঁর দল। সেইসময় ভাঙা পায়ে হুইল চেয়ারে করে এই ভবানীপুর কেন্দ্রেই ভোট দিতে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
No comments:
Post a Comment