প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তান জুড়ে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করা সত্ত্বেও, এমন একটি এলাকা ছিল যা তালেবানের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। কিন্তু এখন সেই এলাকাও তাদের নিয়ন্ত্রণে, এমনই দাবী তালেবানের। তালেবানের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে যে, পঞ্জশির দখল করে নেওয়া হয়েছে। তালেবানের একজন মুখপাত্র রবিবার বলেন, পঞ্জশিরের প্রতিটি জেলা সদর, পুলিশ সদর দপ্তর এবং অন্যান্য সমস্ত কার্যালয় দখল করে নেওয়া হয়েছে।
যদিও এই বিষয়ে পঞ্জশিরে তালেবানের বিরুদ্ধে সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী নর্দান অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে একটি ফেসবুক পোস্টে, নর্দান ফ্রন্টের নেতৃত্বদানকারী আহমেদ মাসুদ, ধর্মীয় পণ্ডিতদের পক্ষ থেকে করা শান্তির প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। আহমদ মাসুদ বলেছেন, তালেবানরা যদি পঞ্জশির ও আন্দ্রাব থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করে নেয়, তাহলে তারা শান্তির জন্য প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, পুরো আফগানিস্তান দখল করার প্রায় ২০ দিন পর্যন্তও তালেবানরা পঞ্জশির দখল করতে পারেনি। পঞ্জশিরের শের আহমদ শাহ মাসুদের পুত্র আহমদ মাসুদের নেতৃত্বে যোদ্ধারা, তালেবান জঙ্গিদের পঞ্জশিরে পৌঁছানোর প্রতিটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। তালেবানরা আলোচনা থেকে শুরু করে হামলা পর্যন্ত প্রতিবার ছক কষেছিল, কিন্তু তাদের প্রতিটি ছল-কৌশল ব্যর্থ হয়েছে।
পঞ্জশিরে আহমদ মাসুদের যোদ্ধা এবং তালেবান জঙ্গিদের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হয়। একদিকে নর্দার্ন অ্যালায়েন্স দাবী করেছে যে, তারা বিপুল সংখ্যক তালেবানদের হত্যা করেছে। অপরদিকে তালেবান পঞ্জশিরের গভর্নর হাউসের দখল দাবী করেছে। পঞ্জশির দখলের আনন্দ তালেবান সারা দেশে হাওয়ায় গুলি ছুঁড়ে প্রকাশ করে। তালেবান জঙ্গিদের ছোঁড়া এই গুলিতে আবার বহু মানুষের মৃত্যুও হয়।
যদিও আহমেদ মাসুদ তালেবানের করা এই দাবী প্রত্যাখ্যান করেছেন। আহমদ মাসুদের পক্ষ থেকে দাবী করা হয় যে, পঞ্জশিরের উপর তার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। আহমদ মাসুদ বলেন যে, যেদিন তালেবান পঞ্জশির জয় করবে, সেদিন উপত্যকায় তাদের শেষ দিন হবে।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের স্বঘোষিত তত্ত্বাবধায়ক প্রেসিডেন্ট আহমেদ সালেহ নিজেও পঞ্জশিরে আশ্রয় নিয়েছেন। আহমদ মাসুদের যোদ্ধারা পঞ্জশিরের সুরক্ষার দায়িত্ব নেয়।
No comments:
Post a Comment