প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: বিজেপি তথা বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী আবারও বিপাকে পড়তে পারেন। দেহরক্ষীর মৃত্যুর ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও জোরপূর্বক ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল। এখন রাজ্য সরকার হাইকোর্টের একক বেঞ্চের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে একটি পিটিশন দায়ের করেছে এবং আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার এই বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশনাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য সরকার একটি মামলা দায়ের করেছে। আবেদনে বলা হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষা কবচ কেন দেওয়া হচ্ছে? বিচারপতি রাজশেখর মন্থারের একক বেঞ্চ সোমবার দেহরক্ষী হত্যাসহ তিনটি মামলায় স্থগিতাদেশ জারি করে এবং বলে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও জোরপূর্বক ব্যবস্থা না নিতে। যদি কোনও নতুন এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়, প্রথমে তথ্য আদালতে দিতে হবে। এর পাশাপাশি শুভেন্দুকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে বলেও জানায় সিঙ্গেল বেঞ্চ। রাজ্য সরকারকে দেওয়া এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার এর শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যুর ঘটনায় তাকে সিআইডি তলব করেছিল। শুভেন্দু, যিনি একসময় ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতার বিশেষ স্নেহভাজন ছিলেন এবং এরপর তিনি বিজেপিতে যোগ দেন এবং নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেন। সোমবার শুভেন্দু অধিকারী হাজির হননি বরং সিআইডি অফিসে একটি ইমেইল পাঠিয়ে তিনি এদিন হাজির হতে পারবেন না বলেই জানান। এর পাশাপাশি, কলকাতা হাইকোর্ট থেকেও তিনি সুরক্ষা কবচ পান। কিন্তু এখন আবার পিটিশন দাখিলের কারণে শুভেন্দু অধিকারীর অসুবিধা বাড়তে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে একই বাড়িতে তাঁর দেহরক্ষী আত্মহত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ। ১৩ অক্টোবর, ২০১৮ সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে, দেহরক্ষী শুভব্রত নিজেকে মাথায় গুলি করে বলে অভিযোগ। পরদিন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। জুলাইয়েই, শুভব্রতর স্ত্রী সুপর্ণা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে তাঁর সন্দেহ রয়েছে এবং এর সঠিক তদন্ত করা উচিৎ।
এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তার নিরাপত্তারক্ষীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগ রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হওয়ার পর থেকে শুভব্রত চক্রবর্তী বিজেপি বিধায়ক সুরক্ষা দলের সদস্য ছিলেন। মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে চলতি বছরের জুলাই মাসে সিআইডির চার সদস্যের একটি দল পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে অভিযান চালায়। শুভব্রত চক্রবর্তীর প্রাক্তন সহকর্মীদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্য সংগ্রহের পরে সিআইডি কর্মকর্তারা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে পৌঁছেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
No comments:
Post a Comment