সৌমিতা চক্রবর্তী, প্রেসকার্ড নিউজ: আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন। এরপরই দেবী পক্ষের শুরু। মায়ের আগমনী বার্তা আকাশে বাতাসে। নদীর ধারে কাশফুলের হাসিতে পৃথিবী যেন নতুন রূপে সেজে উঠেছে। আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন কীভাবে নিজেকে সাজিয়ে তুলবেন পুজোর এই দিন গুলোতে! সেই পুজোর সাজের সাতকাহন নিয়েই এই প্রতিবেদন। আজ না চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক অষ্টমীর সকাল বেলার সাজের বিষয়ে।
এই দিনটা সকলেই প্রায় উপোস থেকে মা কে অঞ্জলী দেওয়ার অপেক্ষায় থাকেন। তবে সেইসঙ্গে নিজেকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতেও কোনও কার্পন্য করেন না নারীরা। তো এই দিনে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবং বিশেষ ভাবে সাজাতে চাইলে সাদা লাল পাড় শাড়ির থেকে ভালো বিকল্প আর কি হতে পারে! তা সে হ্যান্ডলুম, তাঁত, জামদানি বা তসর যে ধরনেরই শাড়ি হোক না কেন। লাল পাড় সাদা শাড়ি পুরোপুরি না হলেও লাল ও সাদার মিশেল শাড়িও পড়ে ফেলতে পারেন। তবে পড়নের শাড়ি একটু হালকা হলে এই গরমে কিছুটা স্বস্তি মিলবে। সঙ্গে লাল ব্লাউজ অবশ্যই।
শাড়ি তো গেল। এবার আসি সাজগোজের কথায়। দিনের বেলায় বেশি মেকআপের প্রয়োজন হয় না। তাই হালকা মেকআপ, চোখে গাঢ় কাজল, ঠোঁটে লাল লিপস্টিক একটু গাঢ় করে। আর কপালে মাঝারি সাইজের লাল টিপ। কম বয়সীরা একটু ছোট টিপও পড়তে পারে। তবে আপনি যদি বিবাহিতা হন, তাহলে সিঁদুরের টিপেই নিজেকে সাজান। হাতে শাঁখা পলা নোয়া তো থাকছেই, সঙ্গে একগাছা সোনা বা সোনার প্রলেপ দেওয়া চুরি পড়ে ফেলুন। পায়ে আলতা। গলায় হালকা সোনার গহনা, কানে দুল। চুল খোঁপা বাঁধতে পারেন বা অল্প হালকা করে বেঁধে নিলেও মন্দ দেখাবে না। আর অবিবাহিতরা মেয়েরা শাড়ি ম্যাচিং জুয়েলারি পড়তে পারে। এতে তাদের বেশ মানাবে। আর সঙ্গে ডিজাইনার পার্স উভয়ের জন্যই।
তো কী ভাবছেন! প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া যেতেই পারে, তাই তো! তবে হ্যাঁ, মাস্ক পড়তে ভুলবেন না। ভিড় এড়িয়ে চলবেন। অবশ্যই স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন। আপনার অসাবধানতা যেন পুজোর আনন্দ বিষাদে না পরিণত করে দেয়। সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন, সুস্থ রাখুন।
No comments:
Post a Comment