প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: লোকসভা সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন দুদিন আগেই। আগামী দিনে গেরুয়া শিবিরে আরও 'বড় ধামাকা' হতে বাকি আছে। কারণ বিজেপি থেকে অনেক বড় নেতা শীঘ্রই তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন, খবর সূত্রের।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করার পর বিজেপির বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এই নেতাদের অধিকাংশই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন নির্বাচনের আগে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আবারও বিজেপি শিবিরের জোর ধাক্কা লাগতে পারে। এমন নয় যে, বিজেপি তাদের বড় নেতাদের দল ছাড়ার বিষয়ে জ্ঞাত নয়, কিন্তু বিজেপি তাদের আটকাতে কোন সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ করবেন, তা বুঝতে পারছে না। যদি এমন হতো, তাহলে হয়তো এত নেতারা বিজেপি ছাড়তেন না, এমনই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
সূত্রের খবর, তৃণমূলে যোগ দিতে যাওয়া নেতাদের মধ্যে অনেক বড় মুখ রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেক সাংসদ এবং অনেক বিধায়কও রয়েছেন। এমনও হতে পারে যে রাজ্যের বাইরে থেকে কিছু বিশিষ্ট মুখও তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। সম্প্রতি, বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায় দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর এখন পর্যন্ত চারজন বিজেপি বিধায়ক দল ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই দাবী করেছেন যে, ২৫ জনেরও বেশি বিজেপি নেতা তৃণমূলের সংস্পর্শে রয়েছেন। সম্প্রতি যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাদেরও অনেকেই তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। অনেকের সুরও পরিবর্তিত হয়েছে, যার কারণে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে অবশ্যই উদ্বেগ বাড়ছে।
প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের খ্যাতি জাতীয় পর্যায়েও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ত্রিপুরা থেকে গুজরাট বা অন্য কোনও রাজ্যে, তৃণমূল সম্প্রসারণ শুরু করেছে। তৃণমূল ২০২৩ সালে ত্রিপুরার নির্বাচনে জয়ের দাবীও করছে।
No comments:
Post a Comment