প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: আমাদের সকলের জীবনেই ফোন একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বস্তু। দূরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, কাছের মানুষকে আরও কাছে আনা বা সুখ দুঃখের কথা আপনজনদের জানানো সবটাই হয় ফোনের মাধ্যমে। কিন্তু অনেককেই আবার আক্ষেপের সুরে বলতে শোনা যায়, জীবনে এত দুঃখ কষ্ট অথচ ভগবানের কাছে সেই কষ্টের কথা জানানোর উপায় নেই! তবে আপনি যদি গণপতির ভক্ত হন, তাহলে এটা জেনে খুশি হবেন, আমাদের দেশেই ভগবান গণেশের এমন একটি মন্দির রয়েছে, যেখানে আপনি ফোনে নিজের মনের কথা জানাতে পারবেন তাঁকে। এছাড়াও আপনি চিঠি লিখে গণপতিকে নিজের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন।
এই মন্দিরটি ১৩০০ বছরের পুরনো শ্রী জুনা চিন্তামণি গণেশ মন্দির। মন্দিরটি রয়েছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে। মান্যতা রয়েছে, ভক্তরা যখন ভগবান গণেশের সাথে ফোনে কথা বলেন বা চিঠির মাধ্যমে তাদের সমস্যার কথা জানান, তখন তাদের সমস্যার যেমন সমাধান হয়, তেমনই তাদের সমস্ত ইচ্ছাও পূরণ হয়।
মন্দিরের পুরোহিত পণ্ডিত মনোহরলাল পাঠকের মতে, ভগবান গণেশের কাছে প্রার্থনা করতে লোকেরা জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, নিউইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেও ছুটে আসেন। এছাড়াও হরিয়ানা, নেপাল, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, মুম্বাই, দিল্লী সহ দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে অনেকের চিঠি বা ফোন আসে। তিনি বলেন, কিছু ভক্ত আছেন যারা লকডাউনের সময় ভগবানের দর্শনের জন্য ভিডিও কলও করতেন। যখন ভক্তদের ভিডিও কল আসত, তখন তিনি ফোনটি ঈশ্বরের কাছে নিয়ে যেতেন এবং ভক্তরা তাদের সমস্যার কথা ঈশ্বরের কাছে বর্ণনা করতেন।
মন্দিরের পুরোহিত পন্ডিত মনোহরলাল পাঠকের মতে, প্রায় ৩২ বছর আগে ধারের একজন বাসিন্দা ভগবান গণেশকে প্রথম চিঠি পাঠিয়েছিলেন। চিঠিতে তিনি তার সমস্ত সমস্যার কথা লিখেছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি ভগবানকে এক কেজি ২৫০ গ্ৰাম লাড্ডুর প্রসাদ নিবেদনেরও ইচ্ছা প্রকাশ করেন। মন্দিরের পুরোহিতের মতে, তার ইচ্ছা পূরণ হয়েছিল। তার পরে তিনি আবার ভগবান গণেশকে একটি চিঠি লিখেছিলেন এবং এবার তিনি চিঠিতে তার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন যে তিনি মন্দিরে প্রসাদ নিবেদন করতে আসতে চান। ঈশ্বরও তাঁর এই ইচ্ছাও পূরণ করেছিলেন এবং ওই ব্যক্তি ইন্দোরে ঈশ্বরের মন্দিরে এসে পৌঁছেছিলেন।
মন্দিরের পুরোহিত পন্ডিত মনোহরলাল পাঠকের মতে, প্রায় ৩২ বছর আগে ধারের একজন বাসিন্দা ভগবান গণেশকে প্রথম চিঠি পাঠিয়েছিলেন। চিঠিতে তিনি তার সমস্ত সমস্যার কথা লিখেছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি ভগবানকে এক কেজি ২৫০ গ্ৰাম লাড্ডুর প্রসাদ নিবেদনেরও ইচ্ছা প্রকাশ করেন। মন্দিরের পুরোহিতের মতে, তার ইচ্ছা পূরণ হয়েছিল। তার পরে তিনি আবার ভগবান গণেশকে একটি চিঠি লিখেছিলেন এবং এবার তিনি চিঠিতে তার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন যে তিনি মন্দিরে প্রসাদ নিবেদন করতে আসতে চান। ঈশ্বরও তাঁর এই ইচ্ছাও পূরণ করেছিলেন এবং ওই ব্যক্তি ইন্দোরে ঈশ্বরের মন্দিরে এসে পৌঁছেছিলেন।
মন্দিরের পুরোহিতের মতে, যখন এই বিষয়টি বিভিন্ন ভক্তদের কানে পৌঁছায়, তখন ধীরে ধীরে চিঠি পাঠানোর অভ্যাস শুরু হয়। পুরোহিত এও বলেন, ২০০৭-২০০৮ সালের পর, ভক্তরা মোবাইলের মাধ্যমেও তাদের সমস্যাগুলি ঈশ্বরের কাছে বর্ণনা করতে শুরু করেন। তারপর থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মন্দিরের পুরোহিতের মতে, অহিল্যাবাই হোলকারও এই মন্দিরে আসতেন। এছাড়া ছত্রপতি শিবাজী এবং তাঁর গুরু সমর্থ রামদাসও এখানে এসেছেন। পুরোহিত জানান এই মন্দিরে রামদাস ভগবান হনুমানের মূর্তিও প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। পুরোহিততের কথানুযায়ী, আওরঙ্গজেবও এই মন্দিরে এসেছিলেন কিন্তু তার উদ্দেশ্য ছিল লুট করা, কিন্তু ঈশ্বরের অলৌকিকতার কারণে আওরঙ্গজেব কিছুই করতে পারেননি।
মন্দিরের পুরোহিতের মতে, অহিল্যাবাই হোলকারও এই মন্দিরে আসতেন। এছাড়া ছত্রপতি শিবাজী এবং তাঁর গুরু সমর্থ রামদাসও এখানে এসেছেন। পুরোহিত জানান এই মন্দিরে রামদাস ভগবান হনুমানের মূর্তিও প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। পুরোহিততের কথানুযায়ী, আওরঙ্গজেবও এই মন্দিরে এসেছিলেন কিন্তু তার উদ্দেশ্য ছিল লুট করা, কিন্তু ঈশ্বরের অলৌকিকতার কারণে আওরঙ্গজেব কিছুই করতে পারেননি।
No comments:
Post a Comment