আফগানিস্তানে অনুপ্রবেশের জন্য পাকিস্তানের নতুন পদক্ষেপ,আইএসআইকে সাহায্য করছে হাক্কানি নেটওয়ার্ক - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 8 September 2021

আফগানিস্তানে অনুপ্রবেশের জন্য পাকিস্তানের নতুন পদক্ষেপ,আইএসআইকে সাহায্য করছে হাক্কানি নেটওয়ার্ক


 প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই -এর প্রধান ফয়েজ হামিদ তালেবানদের একটি বড় গেম পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে আফগানদের সরিয়ে দিতে বলেছেন।  গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ফয়েজ হামিদ আফগানদের বিশ্বাস করেন না।  হামিদ চায় হাক্কানি নেটওয়ার্কের লোকেরা তালেবান নেতৃত্বের আশেপাশে উপস্থিত থাকুক, যাতে তাদের ট্র্যাক করা যায় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করা যায় ফয়েজ হামিদের তালেবানের নেতৃত্বের সঙ্গে অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।



 ফয়েজ হামিদ কাবুল পৌঁছেছিলেন এবং মোল্লা বড়দারকে পাঞ্জশির আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। যিনি এই আক্রমণের পক্ষে ছিলেন না।  হাক্কানি নেটওয়ার্ক পাঞ্জশিরে হামলার পক্ষে ছিল।  ফয়েজ হামিদ মোল্লা বড়দারকে আক্রমণ করতে রাজি করান এবং পাকিস্তানি সেনা পাঠাতেও বলেন।  একই সময়ে, আইএসআই প্রধান হাক্কানি নেটওয়ার্কের লোকদের তালেবান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত করারও পরামর্শ দিয়েছিলেন, যার প্রভাব নতুন তালেবান মন্ত্রিসভায় স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।



 আইএসআই -এর প্রধান, যিনি তালেবান সরকারে বিপুল সংখ্যক আইএসআই পুতুল অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশ্যে কাবুল গিয়েছিলেন, তিনি তালেবানদের সঙ্গে তার ভবিষ্যৎ সেনাবাহিনীর কথাও বলেছিলেন।  ফয়েজ হামিদ তালেবান সেনাবাহিনীতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার অধিক সংখ্যক লোককে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে মত দেন যাতে তালেবানের ভবিষ্যৎ সেনাবাহিনী তাদের তত্ত্বাবধানে পেশাদার সেনাবাহিনীতে পরিণত হতে পারে।



 গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, আইএসআই প্রধান আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মধ্যে ডুরান্ড লাইন পেরিয়ে পাকিস্তানি এলাকা নিয়েও কথা বলেছিলেন, যা একসময় আফগানিস্তানের অংশ ছিল।



 দ্বিতীয় অ্যাংলো-আফগান যুদ্ধের পর, একটি চুক্তির আওতায়, খাইবার পাখতুনখোয়া, ফাটা সহ কিছু এলাকা আফগানিস্তানকে ব্রিটিশ ভারতে একশ বছরের জন্য দিতে হয়েছিল।  ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গঠনের পর এই এলাকাগুলো পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায়।  এখন একশো বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে এবং এখন আফগানিস্তানের অধিকার এই এলাকাগুলির উপর ফিরে এসেছে।



  তাই পাকিস্তানও আশঙ্কা করে যে, ভবিষ্যতে পরিস্থিতির পরিবর্তন হলে তালেবানরা দাবি করতে পারে যে, খাইবার পাখতুনখোয়া সহ ওই এলাকাগুলো আফগানিস্তানকে ফেরত দেওয়া হোক।  এমন অবস্থায় এই বিষয়ে পাকিস্তানের অনুকূলে একটি সমঝোতা করে বিষয়টি চিরতরে সমাধান করা উচিৎ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad