'শুধু ক্লাবকে টাকা দিয়ে ক্যাডার তৈরি করেছেন ভোট পাওয়ার জন্য', মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 2 September 2021

'শুধু ক্লাবকে টাকা দিয়ে ক্যাডার তৈরি করেছেন ভোট পাওয়ার জন্য', মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের


প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন দলের ৫ বিধায়ক। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই নানান জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। দলের অন্দরে তৈরি হয়েছে জটিলতা। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমি গত মাসে গিয়েছিলাম নর্থ বেঙ্গলে। তখনই কথা হয়েছিল যে ৩২ জন বিধায়ক আছে তাদের একত্রিতকরণ করা হবে।" বৃহস্পতিবার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে বেড়িয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। 


তিনি আরও বলেন, 'ওখানে যিনি চিফ হুইপ মনোজ টিগ্গা‌ আছেন তিনি বৈঠক ঠিক করেছেন। পরশু দিন ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ঠিক হয় অমিতাভ দা যাবেন। আমাকে ডেটটা জানালে আমিও যেতে পারতাম। আমি তো অলরেডি দেখা করে এসেছি সবার সঙ্গে। চার-পাঁচজন ছিলেন না বৈঠকে। কেউ দিল্লীতে আছেন, কেউ কলকাতায় আছেন, তাদের কাছে মিটিংয়ের খবর আগে থেকেই ছিল।'


স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে। কোথাও জমির দলিল আবার কোথাও এলআইসির সার্টিফিকেট। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'যার জমির দলিল নেই, যার এল আই সি নেই সে পড়তে পারবে না। এই যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেওয়া হল, এখন নতুন করে দুয়ারে সরকার ঘোষণা করা হল যে, লক্ষ্মীর ভান্ডার চলছে এই প্রজেক্ট যখন ঘোষণা করা হয়, লোকের জন্য হচ্ছে ঠিক আছে আমরা সন্দেহ প্রকাশ করেছিলাম, তারা পাবেন কি। স্বাস্থ্য সাথী দেখেছেন কোভিডের সময়। সুবিধা পাওয়া যায়নি। লক্ষ্মীর ভান্ডার শুরু হয়েছে, এক দুমাস পাবে, তারপর আর পাবে না টাকা কোথা থেকে আনবে সরকার।' 


তিনি আরও বলেন, 'উন্নয়ন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চাকরি নেই, ডিএ নেই। ছাত্রদের যে লোনের কথা বলা হয়েছে, তারজন্য আমরা জিজ্ঞাসা করেছিলাম ফান্ড কোথায়। বাজেটে ফান্ড না রেখে কি করে ঘোষণা করলেন। দেবেন টা কোত্থেকে? শুধু নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘোষণা করা হয়েছিল। দেওয়ার ইচ্ছা নেই, লোককে শুধু বোকা বানানোর চেষ্টা। আর শুধু মনের মতো প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়। নরেন্দ্র মোদীও প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন, মানুষ তার ভরপুর সুবিধা পাচ্ছে। আর তারা বাড়িতে থেকেই পাচ্ছে, লাইনে দাঁড়াতে হয় না।


গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আপিল করতেই পারেন।


ভোট পরবর্তী হিংসা সিবিআই তদন্তের চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্ট যাচ্ছে রাজ্য। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'তৃণমূলও দাবী করেছে তাদের ১৬ জন মারা গিয়েছেন। ১৬ জন লোক মারা যাওয়া কি কম ব্যাপার। কতজন মানুষ মরলে উনি স্বীকার করবেন। আমাদের ৫০-৬০ কর্মী মারা গিয়েছেন। কোর্ট যখন সমস্ৎ তথ্য দেখেছেন কমিশনের টিম পাঠিয়েছেন তারা দেখেছেন ইনকোয়ারী করে রিপোর্ট দিয়েছেন। তারা  সম্পূর্ণ ইনকোয়ারী করে উপযুক্ত অভিযোগ করার আদেশ দিয়েছেন সেটা নিয়েও তাদের অভিযোগ। সেই অনুযায়ী কাজ চলছে। যারা এতদিন বলত সিবিআই কোনও কাজেরই না, তারাই এখন সিবিআইয়ের ভয় করছে।' 


'সিবিআই এখন মাঠে ঘাটে জঙ্গলে পৌঁছে যাচ্ছে এখন বুঝতে পারছে আর কিছু লুকিয়ে রাখা যাবে না। বাঁচার শেষ রাস্তা হিসাবে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে। আমার মনে হয় পাঁচজন বিচারপতি মিলে যেখানে রায় দিয়েছেন, হিংসা হয়েছে তার সুবিচার হওয়া উচিৎ। আমার মনে হয় না, আর কোনও রাস্তা বাকি আছে,' যোগ করেন দিলীপ ঘোষ।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার বলেছেন এতদিন রাজ্য সামাজিক কাজে এক নম্বরে ছিল, এবার শিল্পে এক নম্বর হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সামাজিক কাজ বলতে ক্লাবকে টাকা দেওয়া। কয়েক হাজার কোটি টাকা বিলিয়ে দিলেন। করোনার সময় সেই ক্লাবকে দেখিনি, কোনও কাজে পাইনি। এই টাকা গুলো খেলাধুলা লেগেছে, নাকি তাস খেলায় লেগেছে, নাকি পিকনিক হয়েছে, বলে কটাক্ষ করেন তিনি। অলিম্পিক হল সেখানে বাংলার যোগদান কি ছিল? ১০ বছর স্পোর্টসের জন্য কি করেছেন? শুধু ক্লাবকে টাকা দিয়ে ক্যাডার তৈরি করেছেন ভোট পাওয়ার জন্য। যদি মনে হয় এটা সামাজিক কাজ তাহলে সফল হয়েছেন।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad