প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই রোগটি অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে প্রমাণিত হয়। পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রতি ৭০ জন নারীর মধ্যে একজন জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।
কিভাবে জরায়ুর ক্যান্সার হয়
জরায়ুর ভিতরে এন্ডোমেট্রিয়াম নামে একটি স্তর থাকে। যখন এন্ডোমেট্রিয়ামের কোষগুলি জরায়ুতে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, তখন ক্যান্সার হতে পারে। এই কারণে, নারীরা শুধু মা হতে অসুবিধার সম্মুখীন হয় না বরং এই রোগ তাদের প্রাণটাও কেড়ে নিতে পারে তো।
জরায়ু ক্যান্সারের কারণ--
শরীরে এস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরনের মাত্রায় পরিবর্তন
মাসিকের সময় সংক্রমণ
জেনেটিক বা পারিবারিক ইতিহাস
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খাওয়ার কারণে।
যেসকল মহিলারা জরায়ু ক্যান্সারের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন--
৫৫ বছর পর মেনোপজ হওয়া মহিলাদের।
যাদের পিরিয়ড ১৫- র আগে শুরু হয়েছে।
PCOS এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মহিলারা ঝুঁকিতে থাকতে পারেন।
জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ--
ওজন কম হওয়া- যদি ডায়েটিং এবং ব্যায়াম না করেও ওজন দ্রুত কমে যাচ্ছে, তাহলে তা উপেক্ষা করবেন না। জরায়ু ক্যান্সার ছাড়াও এটি থাইরয়েডের লক্ষণও হতে পারে।
ঘন ঘন প্রস্রাব- ঘন ঘন প্রস্রাব করা, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, রক্তাক্ত প্রস্রাব বা প্রস্রাব করার সময় ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা উপেক্ষা করবেন না।
পিরিয়ড ছাড়াও রক্তপাত - যদি আপনার পিরিয়ড ছাড়া অন্য রক্তক্ষরণ হয়, তাহলে তা উপেক্ষা করবেন না।
শারীরিক সংযোগ তৈরিতে ব্যথা- জরায়ু ক্যান্সারের একটি উপসর্গ হল ইরেকশনের সময় ব্যথা অনুভব হতে পারে। এক্ষেত্রে, অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
No comments:
Post a Comment