প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: যদিও কিছুদিন আগেই রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু হঠাৎ করেই ফুল বদল। বিজেপি ছেড়ে শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন বাবুল। আর তৃণমূলে যোগদানের পর প্রথম প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন যে, তৃণমূলে আসতে পেরে তিনি গর্বিত। তিনি বলেন, 'বাংলার মানুষের দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের) প্রতি আস্থা আছে। বাংলার মানুষের সেবা করাই তাঁর উদ্দেশ্য। তৃণমূলের জন্য বাংলার স্বার্থ সবার ওপরে। আজকের দিনটি আমার জন্য একটি বড় দিন।'
তৃণমূল কংগ্রেস এক ট্যুইটে বলেছে, "আজ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি এবং রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনের উপস্থিতিতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বর্তমান সংসদ সদস্য বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল পরিবারে যোগ দিয়েছেন।" উল্লেখ্য, গত মাসে, বাবুল সুপ্রিও ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন, কিন্তু পরে লোকসভার সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত নেন। বাবুল জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, তিনি আর সক্রিয় রাজনীতির অংশ হবেন না।
বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ো বলেছিলেন যে তিনি সাংসদ হিসেবে তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাবেন, কিন্তু রাজনীতি থেকে দূরে থাকবেন। এছাড়াও, তিনি রাজধানীতে তার সরকারী বাসস্থানও খালি করে দেবেন বলে তিনি জানান।
এই সব কিছুর মাঝেই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবী করেছেন, "অনেক বিজেপি নেতা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তারা বিজেপিতে থেকে সন্তুষ্ট নয়। একজন (বাবুল সুপ্রিয়) আজ যোগ দিয়েছেন, অন্যজন আগামীকাল যোগ দিতে চান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ।"
প্রসঙ্গত, বাবুল সুপ্রিয়ও বাংলার একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন কিন্তু জয়ী হতে পারেননি। টালিগঞ্জ বিধানসভা আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগের পরই তিনি রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছিলেন, "বিদায়! আমি কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছি না। টিএমসি, কংগ্রেস, সিপিআই (এম) কেউ যেন আমাকে ডাকেনি। আমি কোথাও যাচ্ছি না ... সামাজিক কাজ করার জন্য রাজনীতিতে থাকার দরকার নেই।"
No comments:
Post a Comment