নিজস্ব প্রতিনিধি , উত্তর ২৪পরগনা: গভীর নিন্মচাপের মাঝে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে ওড়িশার তালাসারির সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল মধ্যমগ্রামের দুই যুবক।মৃতরা হল আব্দালপুর রামকৃষ্ণপল্লীর অভ্রদ্বীপ আচার্য(২২) এবং মেঘদুতের মধ্যপাড়ার দেবজ্যোতি সিংহ(২২)।
স্থানীয় এবং পুরসভা সূত্রে জানা গেছে গত শনিবার মধ্যমগ্রাম থেকে আট জনের একটি পর্যটকের একটি দল পুরনো দিঘায় গিয়েছিলেন।এরা সকলেই সমবয়সী। অভ্রদ্বীপের বাড়ি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দালপুরের রামকৃষ্ণপল্লী এলাকায়। অভ্রদ্বীপ পড়াশুনোর পাশাপাশি পুরোহিতের কাজকর্ম করতেন। পরিবারের একমাত্র ছেলে অভ্রদ্বীপ দমদমের মতিঝিল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।অভ্রদ্বীপের পরিচিত এক পরিবারের সাথেই গিয়েছিলেন সেখানে। ৮ জনের এই পর্যটকের দলে পরিবারের লোকজন যেমন আছেন,তেমনি কলেজ পড়ুয়াও ছিল। অভ্রদ্বীপদের সাথেই পুরনো দিঘাতে গিয়েছিলেন মধ্যমগ্রাম মেঘদুত মধ্যপাড়ার দেবজ্যোতি সিংহ। এরা সকলেই উঠেছিল ওল্ড দিঘার একটি হোটেলে।
তবে শনিবার থেকেই দিঘার সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েন। এর মধ্যেই সমুদ্রে নামা বন্ধ করতে রবিবার থেকে আরও কড়া পদক্ষেপ করে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই যে সব পর্যটক দিঘায় হাজির হয়েছেন, তাঁদের দ্রুত চলে যাওয়ার নির্দেশ জারি হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই যুবক রবিবার বেলার দিকে সমুদ্রস্নান করার জন্য ওড়িশার তালসারিতে যান। সেখানে জলের তোড়ে তাঁরা তলিয়ে যান।
এদিন বিকেলের পরেই অগ্রদ্বীপের পরিবার তাত মৃত্যুর খবর জানতে পারেন।এদিন সন্ধ্যায় দিঘার উদ্দেশে রৌওনা দিয়েছেন তার পরিবারের লোকজন। একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে শোকে পাথর হয়ে গেছেন তার মা। পরিবার, প্রতিবেশীরা শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ছেলের শোকে মাঝেমাঝেই মূর্ছা যাচ্ছেন। এদিন রাতেই মৃতের বাড়িতে যান তৃণমূলের স্থানীয় কো-অর্ডিনেটর মমতা সেন রায়৷ সমবেদনা জানান পরিবারকে। তিনি বলেন এলাকায় খুব ভালো ছেলে হিসেবেই পরিচিত ছিল অভ্রদ্বীপ।
No comments:
Post a Comment