প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : দাঁত থাকার সময় দাঁতের অর্থ না বোঝার কথা খুবই প্রাচীন। কিন্তু এটা অস্বীকার করার কিছু নেই যে আমরা আক্ষরিকভাবে আমাদের দৈনন্দিন যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের দাঁতের প্রতি খুব বেশি মনোযোগ দিই না। তাই বয়সের সাথে সাথে দাঁতের ক্ষয়, মাড়ির ব্যথা এবং অন্যান্য সমস্যা আসে। যত তাড়াতাড়ি আপনি ষাট এবং সত্তর দশকের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছান, এটি আপনার অনিবার্য যে আপনি দাঁত তুলবেন বা রুট ক্যানেল হয়ে যাবেন। আর আপনি যদি ধূমপায়ী হন তাহলে কোন লাভ নেই। কিন্তু আপনি যদি শুরু থেকেই অল্প অল্প করে দাঁতের যত্ন নেন, তাহলে আপনাকে ডাক্তারের সাহায্য নিতে হবে না। আসুন সেদিকে একটু নজর দেওয়া যাক। এখানে এমন কিছু উপায় দেওয়া হল যেগুলোতে ভালো দাঁত থাকা আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
দাঁত মাজা: দাঁতের যত্নের প্রথম ধাপ হল নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা। এ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। দিনে অন্তত দুবার দাঁত ব্রাশ করুন। সকালে দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস প্রায় সবার নিয়মের মধ্যে পড়ে। কিন্তু এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো রাতে ঘুমানোর আগে আরও একবার দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস। এই নিয়ম ধূমপায়ীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
ডাক্তারের কাছে যাওয়া: প্রত্যেকেরই বছরে দুবার তাদের ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়া উচিত। ধূমপায়ীদের জন্য আরো ঘন ঘন যাওয়া ভাল। মনে রাখবেন, ধূমপায়ীদের সবসময় অন্যদের তুলনায় দাঁতের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
কুলকুচি: খাওয়ার পর সব সময় চেষ্টা করুন যাতে আপনি জল দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন।
চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন: মিষ্টি খাবারের এসিড খাওয়ার পরেও দীর্ঘ সময় মুখে থাকে। এই এসিড দাঁতের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এটি ধীরে ধীরে দাঁত ক্ষয় করে। তাই এই ধরনের খাবার যতটা সম্ভব পরিহার করা উচিত।
টুথপেস্ট নির্বাচন: দাঁত ভালো রাখতে অনেক ধরনের টুথপেস্ট আছে। যাইহোক, টুথপেস্ট নির্বাচন করার সময়, নিশ্চিত করুন যে এতে ফ্লুরাইড রয়েছে।
মাউথওয়াশ: দিনে ২-৩ বার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার চেষ্টা করুন। এতে মুখের দুর্গন্ধ হয় না এবং দাঁতে জমে থাকা জীবাণু সহজেই দূর হয়ে যায়। এটি ধূমপায়ীদের জন্য খুবই উপকারী।
No comments:
Post a Comment