কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "দিল্লী থেকে জয়পুর পর্যন্ত একটি বৈদ্যুতিক মহাসড়ক তৈরি করা আমার স্বপ্ন। এটি এখনও একটি প্রস্তাবিত প্রকল্প। আমরা একটি বিদেশী কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছি।"
বাস ও ট্রাকও বিদ্যুৎ চালিত হবে
রাজস্থানের দাউসায় দিল্লী-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে গিয়ে গডকরি বলেন, " বাস এবং ট্রাকগুলিও বৈদ্যুতিক রেল ইঞ্জিনের মতো বিদ্যুৎ দিয়ে চলবে।" তিনি বলেন, "পরিবহন মন্ত্রী হিসেবে আমি দেশে পেট্রোল ও ডিজেলের ব্যবহার বন্ধ করার সংকল্প নিয়েছি।"
তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বৈদ্যুতিক যানবাহনের বিকল্প গ্রহণ করছে। গডকরি বলেছিলেন যে বৈদ্যুতিক যানবাহন ছাড়াও বাস, ট্রাক এবং রেলওয়ে ইঞ্জিনও বিদ্যুতে চালানো যেতে পারে। দাবী করা হচ্ছে, ইলেকট্রিক হাইওয়ে চালু হওয়ার পর যাত্রীদের যাতায়াত ৪-৫ ঘণ্টা কমে যাবে।
ইলেকট্রিক হাইওয়ে চালু হওয়ার পর ট্রাক ও বাস বিদ্যুতে চলবে। এই হাইওয়েতে ট্রাক ও বাস মেট্রোর মতো উপরে লাগানো বৈদ্যুতিক তারের মধ্য দিয়ে চলবে। এটি পরিবেশের কথা মাথায় রেখে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।
দিল্লী-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে
গডকরি দিল্লী-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছেন, যা জাতীয় রাজধানী এবং আর্থিক রাজধানীর মধ্যে সড়ক পথে ২৪ ঘন্টার পরিবর্তে ১২ ঘন্টার মধ্যে যাত্রা সম্পন্ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই আট লেনের এক্সপ্রেসওয়ে দিল্লী, হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাটের মধ্য দিয়ে যাবে।
নিতিন গডকরি পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "দিল্লী-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি মাসে ১০০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকা (টোল রাজস্ব) আয় করবে।" তিনি বলেছিলেন যে এই এক্সপ্রেসওয়ে ২০২৩ সালের মধ্যে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment