প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিধানসভা উপনির্বাচন এবং রাজ্যসভার একটি আসনের উপনির্বাচনের ঘোষণার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়া দিল্লীতে বিজেপি তথা বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শহর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকটি প্রায় ১৫ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল, কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী এই বৈঠকে সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
বাংলায় বিধানসভা উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং সিবিআই রাজ্যে সহিংসতার মামলাগুলি তদন্ত করছে। এরই মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর অমিত শাহের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর এটি তৃতীয় বৈঠক। বিধানসভা উপনির্বাচনের ঘোষণার পর বঙ্গীয় বিজেপি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে বিজেপি কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছয়জন প্রার্থীর নাম পাঠিয়েছে।
বিজেপি প্রার্থীদের নামের মধ্যে রয়েছে অনির্বাণ গাঙ্গুলী, যিনি বোলপুর থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।ৎপ্রিয়াঙ্কা তিব্রেওয়াল, যিনি এন্টালি থেকে প্রার্থী ছিলেন, অভিনেতা প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ, যিনি ভবানীপুর থেকে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছিলেন, বরিষ্ঠ নেতা তথাগত রায়, বাংলার বিজেপি সহ-সভাপতি প্রতাপ ব্যানার্জী এবং কাঁকুড়গাছি রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত বিজেপি সমর্থক অভিজিৎ সরকারের বড় ভাই বিশ্বজিৎ সরকারের নাম। যদিও এটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রিয়াঙ্কা তিব্রেওয়াল প্রার্থীদের দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন এবং তিনি ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে এই মামলায় আদালতেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
এই বছর পশ্চিমবঙ্গে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রাম আসনে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরাজিত করেন। শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১,৯৫৬ ভোটে পরাজিত করেন। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবারের মতো বিজেপি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এখন পরাজয়ের কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবার উপনির্বাচনে লড়তে হয়েছে। তার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার বাঁচাতে ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাকে নির্বাচিত হতে হবে। অন্যথায় মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার বিপদে পড়তে পারে।
No comments:
Post a Comment