চিকিৎসার নামে চলেছিল যৌন হেনস্থা, ক্ষমা চেয়েছেন হু প্রধান

প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : হু কর্মীদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে।  একটি স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থা এই অভিযোগগুলি সিল করে দিয়েছে।  মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে হু প্রধান ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।  তিনি ঘটনাটিকে সংগঠনের ব্যর্থতা এবং ব্যক্তিগত অবহেলা বলে অভিহিত করেছেন।

  সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে তিনি বলেন, "আমি ভুক্তভোগীদের বলতে চাই- আমি ক্ষমা চাইছি।"  তিনি অপরাধীদের শাস্তির আশ্বাসও দিয়েছেন।  ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত কঙ্গোতে ইবোলা প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য স্থানীয়ভাবে নিয়োগ করা শ্রমিকদের পাশাপাশি, দেশের আন্তর্জাতিক দলের সদস্যরা এই অপরাধ করেছে।

  

  তদন্ত কমিশন কয়েক ডজন নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন যাদের যৌনতার বিনিময়ে কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, অথবা যাদের ধর্ষণ করা হয়েছিল।  "ডব্লিউএইচওর অংশ হিসাবে, আমরা এই মহিলা এবং মেয়েদের কাছে ক্ষমা চাইছি।"

  থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন এবং দ্য নিউ হিউম্যানিটারিয়ান এক বছর ধরে এই তদন্ত চালায়।  তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে পেজ৫ একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।  এটি যৌন হেনস্থার এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।  তদন্তে দেখা গেছে যে ৫০ জনেরও বেশি মহিলা ইবোলা সাহায্য কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন।

  হু এর কর্মচারী ছাড়াও, আসামীদের মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং সুপরিচিত বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা।  নোংরা প্রস্তাব দেওয়া ছাড়াও অভিযুক্তরা তাদের যৌন নির্যাতন করে। এই ধরনের কাজে বাধা সৃষ্টির জন্য অনেককে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

  তদন্ত কমিটি পুরো ঘটনায় হু নেতাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের দিকে আঙুল তুলেছে।  প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যৌন হেনস্থার অভিযোগ নথিভুক্ত হওয়ার প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে ডব্লিউএইচওর শীর্ষ আধিকারিকরা পুরো বিষয়টি জানতে পারেন।  কিন্তু তারা কোনও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেননি।