আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি কি কারোও জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে?

প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: যখনই আমাদের সঙ্গে অকারণে খারাপ কিছু ঘটে। বাড়িতে আর্থিক সংকট হয়, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো হয় না, তখন এমন পরিস্থিতিতে আমরা বলি যে কেউ অবশ্যই খারাপ দৃষ্টিশক্তি দিয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে। কিছু লোক এটাকে কুসংস্কার বলে মনে করে, কিন্তু অধিকাংশ লোকেরই এই সব বিষয়ে দৃড় বিশ্বাস আছে। এখন প্রশ্ন আসে এটা কি সত্যিই কুসংস্কার নাকি এর মধ্যে কোন সত্যতা আছে? আজ আমরা আপনাকে এই সম্পর্কিত তথ্য দিব  ।

 দৃষ্টিশক্তি হ্রাসকে এক ধরণের ত্রুটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। লোকেরা প্রায়শই হিংসা থেকে এটি করে।  যখন একজন ব্যক্তির মঙ্গল, সমৃদ্ধি, সাফল্য দেখে অন্য ব্যক্তি ঈর্ষান্বিত হয় তখন তাকে নজর লাগানো বলা হয়।  কখনও কখনও তাদের প্রভাব খুব বেশি হয় না কিন্তু কখনও কখনও এটি একটি ব্যক্তির পুরো জীবন নষ্ট করার সম্ভাবনা রাখে। একটি মুহূর্তের মধ্যে কারোও জীবন নষ্ট করতে পারে। যখন কোনোও পরিবারে বা একজন ব্যক্তির এবং কোনোও কঠিন কারণ ছাড়াই শিশুর আচরণে রাতারাতি পরিবর্তন আসে, তখন বুঝতে হবে যে অবশ্যই কিছু ভুল আছে।

এটা এমন বিশ্বাসের বিষয় যার উপর মানুষের বিশ্বাস প্রবল কিন্তু বিজ্ঞান এই বিষয়ে কি বলে?  বিজ্ঞান অবিলম্বে পর্যবেক্ষণযোগ্য প্রত্যাখ্যান করে।  যাইহোক, বিজ্ঞান এটাও বিশ্বাস করে যে আমাদের চোখ থেকে এমন কিছু তরঙ্গ বেরিয়ে আসে যা সামনের বস্তু বা ব্যক্তির উপর নেতিবাচক এবং ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।  যখন এই তরঙ্গগুলি খুব শক্তিশালী হয়, তখন এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

 এই জিনিস যা মানুষের মস্তিষ্কের পণ্য বলে মনে করা হয়, তা বিশ্বাস বা কুসংস্কার হতে পারে কিন্তু মানুষ শতাব্দী ধরে সংগ্রাম করে আসছে।  এই অবস্থায়, এটি এড়াতে কিছু ব্যবস্থা অনুসরণ করা যেতে পারে।  উদাহরণস্বরূপ, যে ব্যক্তির দৃষ্টি হয়েছে তার মাথার উপর থেকে তিনবার দুধ নেওয়ার পর  হলুদ মিশিয়ে কুকুরকে দিন। এটি দৃষ্টি কেড়ে নেয়। এছাড়াও, হনুমানজির পূজা করলেও খারাপ দৃষ্টিশক্তি সহজেই দূর হয়।