এই গ্রামে অক্ষয় তৃতীয়া উৎসবকে অশুভ বলে মনে করা হয় ! কারণটি জেনে নিন - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 30 September 2021

এই গ্রামে অক্ষয় তৃতীয়া উৎসবকে অশুভ বলে মনে করা হয় ! কারণটি জেনে নিন




প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: ভূত, আত্মা ইত্যাদি আছে কিনা সে সম্পর্কে মানুষের বিভিন্ন ধারণা আছে। কেউ কেউ তাদের বিশ্বাস করে এবং কেউ কেউ তাদের বিশ্বাস করতে অস্বীকার করে, কিন্তু কখনও কখনও এমন কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটে, যার কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। এই ধরনের ঘটনার পিছনে কারণ অনেক বেশি  মানুষের চিন্তাভাবনা এবং বিজ্ঞান।


 এখানে কথা হচ্ছে যে প্রায় ২০০ বছরের পুরনো একটি দুর্গ উত্তর প্রদেশের ললিতপুর জেলায় অবস্থিত।  এই দুর্গ সম্পর্কে বলা হয় যে প্রায় ১৫০ বছর আগে এখানে একটি বিরাট ট্র্যাজেডি ঘটেছিল।  ঘটনার প্রমাণ হিসেবে আজও এই কেল্লার দরজায় ৭ টি মেয়ের একটি করে ছবি রয়ে গেছে।  প্রতি বছর গ্রামের মহিলারা এই মেয়েদের পূজা করে।



১৮৫০ সালের দিকে রাজা মর্দান সিং ললিতপুরের বানপুরের রাজা ছিলেন।  সেই সময়ে, তিনি প্রায়ই তালবেহাটে আসা -যাওয়া করতেন।  এই কারণে তিনি ললিতপুরের তালবেহাটে একটি প্রাসাদ বানান। রাজা মর্দান সিংয়ের বাবা প্রহ্লাদ এই প্রাসাদে থাকতেন।  রাজা মর্দান সিংহের আরেকটি বিশেষ বিষয় হল তিনি ১৮৫৭ সালের বিপ্লবে রানী লক্ষ্মীবাইকে সমর্থন করেছিলেন।


 রাজা মর্দান সিং এবং তার পিতার আচরণ ছিল একে অপরের সম্পূর্ণ বিপরীত।  রাজা মর্দন সিংকে যখন মানুষ শ্রদ্ধার চোখে দেখত অন্য দিকে তার বাবা প্রহ্লাদ সিং তার নোংরা কীর্তির কারণে বুন্দেলখণ্ডকে কলঙ্কিত করেছিলেন।


 ঐতিহাসিকদের মতে, অক্ষয় তৃতীয়ার উৎসবে একদিন এমন কিছু ঘটেছিল যা সত্যিই হতবাক করার মতো। সেই সময়, অক্ষয় তৃতীয়ার পবিত্র উৎসবে, নেগকে চাওয়ার একটি অনুষ্ঠান ছিল।


 এই অনুষ্ঠান করার জন্য তালবেহাট রাজ্যের ৭ জন মেয়ে রাজা মর্দান সিং এর কাছে পৌঁছেছিল।  সেই সময় মর্দান সিংয়ের বাবা প্রহ্লাদ দুর্গে একা ছিলেন।  সুযোগের সদ্ব্যবহার করে প্রহ্লাদ সিং মেয়েদের তার লালসার শিকার করে।  নির্যাতিত মেয়েরা প্রাসাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে।


 রাজা মর্দান সিং তার বাবার এই ঘৃণ্য ক্রিয়ায় খুব আঘাত পেয়েছিলেন।  মেয়েদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তিনি দুর্গের প্রধান ফটকে সাতটি মেয়ের ছবি লাগিয়ে ছিল যা এখনও এখানে রয়েছে।  সারা দেশে অক্ষয় তৃতীয়ার  উৎসব শুভ মনে করা হলেও ললিতপুরে এই দিনটিকে অশুভ বলে মনে করা হয়।


 এই দিন এখানকার মহিলারা দুর্গের প্রধান প্রবেশদ্বারে সাতটি মেয়ের ছবির পূজা করেন।  এখানকার লোকেরা বিশ্বাস করে যে এটি করলে তাদের আত্মা শান্তি পাবে। এখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, আজও তালবেহাট কেল্লায় সেই ৭ জন নির্যাতিত মেয়ের আত্মার আর্তনাদ শোনা যায়।  এই ভয়ের কারণে, লোকেরা কেবল রাতে নয়, দিনের বেলায়ও দুর্গের চারপাশে যেতে পড়ে না।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad