নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: "উনি প্রত্যেক দিন এই ধরনের কথা বলে সংবাদমাধ্যমে ভেসে থাকতে চাইছে। ওনার নিজের জেলাতেই তো আইটি হাব রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষজন গৃহবন্দী তাই ওয়ার্ক ফ্রম হোম হচ্ছে।' 'রাজ্যে কোন কর্মসংস্থান নেই, আইটি হাব নেই, রাজ্যের ছেলেরা বাইরে যাচ্ছে।' শুভেন্দু অধিকারীর রবিবার করা এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে একথা বলেন, তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রবিবার শরৎ সদনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কৃতি ছাত্র ছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে একথা বলেন তিনি।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে তিনি বলেন, "উনি জানেন না কেন্দ্রীয় সরকার এই মুহূর্তে তাদের পরিচালনায়, আর সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব ভারতবর্ষে। বেকারত্বে রেকর্ড ছুঁয়েছে বিজেপি সরকার। সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলো বিক্রি করে কর্মসংস্থানের বদলে কর্মচ্যুতি হচ্ছে। তারই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে বেকারত্বের সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গে ৪০% কমেছে।"
পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, "আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বেকারত্ব দূর করা। এমেসেমিতে এখনও পর্যন্ত আমাদের যা কর্মসংস্থান হয়েছে তা অতুলনীয়। এরপর মাঝারি ভারী শিল্প এবং তথ্যপ্রযুক্তি এই সব দিকে নজর দেওয়া হবে। নতুন করে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি সংস্থা কাজ শুরু করেছে যেমন ইনফোসিস,আইটিসি, কগনিজেন্ট, রিলায়েন্স, পেপসিকো। অতএব যারা তথ্য জানে না, নিজে তথ্যই খাঁড়া করতে চায়, তারা বাংলাকে জানে না। বাংলার মাটিকে না জেনেই এইসব কথা বলছে।"
অভিষেক ব্যানার্জীর দিল্লি যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি যাবেন বলেছেন তাই গেছেন। শুভেন্দু অধিকারীর যাওয়া নিয়ে তিনি বলেন, 'এই সমস্ত ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। শুধু একটাই কথা বলতে চাই, আইন নিয়ে যারা নাড়াচাড়া করছে, তারা যেন প্রতিহিংসাপরায়ণ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।'
বিজেপি থেকে তৃণমূলে বেশ কয়েকজন বিধায়ক যোগদান করেছে, তাদের উদ্দেশ্য করে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'গরু-ছাগল তো নয়, যে বেঁধে রাখবো', সেই নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "যখন বিজেপির দলে থাকে তখন মানুষ হয় এবং যখন তৃণমূলে আসে তখন তারা গরু ছাগল হয়ে যায়। এর থেকে অপমান জনক কিছু হয় না। বিধায়কদের অপমান করেছেন তিনি। উনি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে কিভাবে বিধায়কদের গরু ছাগলের সাথে তুলনা করতে পারে? আমি ভেবে দেখব, আলোচনা করে দেখব প্রিভিলেজ আনা যায় কিনা পুরো বিষয়টার। এটা অত্যন্ত লজ্জাকর। বিজেপির এমএলএ রা তো রয়েছে তারা এই বিষয়টার প্রতিবাদ করছে না? যা মুখে আসে তাই বলে চলেছে সবসময।"
বাংলায় এদের জনভিত্তি নেই ত্রিপুরায় এদের জনভিত্তি কমে যাচ্ছে চোখে সর্ষে ফুল দেখছে। আগে বিধায়কদের সাথে আলোচনা করব। গরু ছাগল মন্তব্যকে সমর্থন করি না ওনাকে আগে এটা প্রত্যাহার করতে হবে তারপর প্রিভিলেজ নিয়ে ভেবে দেখব।
No comments:
Post a Comment