প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: চুল পড়তে আরম্ভ করলে টেনশন হয় না, এমন কোনও মানুষ এই দুনিয়ায় আছেন নাকি? যাঁদের জেনেটিক কারণে চুল পড়ছে, তাঁদের কথা আলাদা। বাকিদের ক্ষেত্রে কিন্তু চুল পড়ার কারণটা খুঁজে বের করতে পারলেই সমস্যার অর্ধেকটা সমাধান হয়ে যায়। আপনার খাবারে পুষ্টিগুণের অভাব হলে, মাত্রাতিরিক্ত স্ট্রেস বাড়লে, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিলে, খুশকি বা স্ক্যাল্পের অন্য কোনও সমস্যার কারণে বা কোনও ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে চুল পড়তে পারে। সাধারণত এই ধরনের সমস্যাগুলির সমাধান হয়ে গেলেই চুল পড়াও কমে যায়। কিন্তু তার পাশাপাশি যেটা প্রয়োজন, তা হল নতুন চুল গজানো। তা না হলে পুরোনো স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের বাহার ফিরে পাবেন কীভাবে?
চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন বি, সি ও ই-এর খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি অবশ্যই রাখা উচিত, তা থেকে পাওয়া যায় বায়োটিন। ভিটামিন সি স্ক্যাল্পে জমে ওঠা মৃত কোষের পাহাড় ঠেলে সরিয়ে চুলের ফলিকলের মুখগুলো খুলে দেয়। ফলে নতুন চুল গজাতে সুবিধে হয়। ভিটামিন ই-এর অ্যান্টিঅক্সিডান্ট স্ক্যাল্পের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা কমায়। নতুন চুল গজানোর কাজে দারুণ সহায়ক হতে পারে হেয়ার ম্যাসাজ। পছন্দের কোনও তেলের মধ্যে ভিটামিন সি বা ই ক্যাপসুল মিশিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করতে পারেন। তবে মাথায় মাখার তেলের মানের ব্যাপারে কখনও কোনও সমঝোতা করবেন না – একস্ট্রা ভার্জিন নারকেল তেল, কাঠের ঘানিতে পেশা সরষের তেল, মিষ্টি আমন্ডের তেল বা ভালো মানের অলিভ অয়েলের মধ্যে যেটি আপনার চুলের পক্ষে সবচেয়ে উপযুক্ত, সেটিকে বেছে নিন। নারকেল তেলে উপস্থিত পটাশিয়াম আপনার স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সক্ষম, তাতে নতুন চুল গজানোর হার বাড়বে।
খাদ্যতালিকায় যথেষ্ট ফলিক অ্যাসিড রাখছেন তো? লোহিত রক্ত কণিকা তৈরিতে ও সেগুলির কার্যকারিতা বজায় রাখতে ফলিক অ্যাসিডের খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। ফলিক অ্যাসিড চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। অনেকে বলেন নারকেলের দুধ সারা রাত মাথায় মেখে পরদিন ধুয়ে ফেললে চুল গজানোর হার বাড়ে। কারও ধারণা অধোমুখ শবাসন, বজ্রাসন, শশঙ্গাসন নিয়মিত অভ্যাস করলে নতুন চুল গজায় মাথায়। কারও ধারণা হেয়ার ম্যাসাজের পর মাথা নিচের দিকে ঝুঁকিয়ে রাখলে যেহেতু সরাসরি স্ক্যাল্পে রক্ত প্রবাহ হয় তাই চুল গজানোর হারও বেড়ে যায়।
উপরের সব ক’টি উপায়ই যে আপনার ক্ষেত্রে কাজে লাগবে তার কোনও মানে নেই কিন্তু! তবে ট্রাই করে দেখতে পারেন এক এক করে – সেই সঙ্গে খেয়াল রাখুন সর্বাঙ্গীন স্বাস্থ্যেরও কিছুদিনের মধ্যেই চুল ঝলমলিয়ে উঠতে বাধ্য!
No comments:
Post a Comment